আজকাল ওয়েবডেস্ক: পরপর দু'বার চ্যাম্পিয়ন। বিনো জর্জের তত্ত্বাবধানে। স্বভাবতই খুশিতে ডগমগ ইস্টবেঙ্গলের জুনিয়র দলের কোচ। খেতাব ফ্যানদের উৎসর্গ করেন অস্কার ব্রুজোর সহকারী। জানিয়ে দিলেন, জুনিয়রদের তৈরি করার এটা আদর্শ মঞ্চ। বেশ কয়েকদিন ধরে ক্লাবে ট্রফির খরা চলছিল। গত বছর থেকে সেই ধারা বদলাতে পেরে খুশি লাল হলুদ কোচ। বিনো‌ বলেন, 'পরপর দু'বার কলকাতা লিগ জিতে অবশ্যই খুশি। সবাই গত দু'মাস ধরে পরিশ্রম করেছে। মনোযোগ দিয়ে খেলেছে। আমরা সুপার সিক্সের সব ম্যাচ জিতেছে। লিগ জেতার জন্য কর্তাদের থেকে সবরকমের সহযোগিতা পেয়েছি।' কলকাতা লিগ জুনিয়রদের গড়ে তোলার আদর্শ মঞ্চ মেনে নিলেও। ঘরোয়া লিগ থেকে সরাসরি আইএসএলে প্লেয়ারদের খেলানোর পক্ষপাতী নয় বিনো। ইস্টবেঙ্গলের কোচ মনে করেন, ধাপে ধাপে দেশের শীর্ষ লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করা উচিত ফুটবলারদের। এই প্রসঙ্গে বিনো বলেন, 'প্লেয়ারদের প্রমোট করা উচিত। তবে সিনিয়র দলের জেতাও দরকার। আমাদের সময় নিয়ে প্লেয়ার পাঠাতে হবে। নয়তো আপনারাই বলবেন, বাজে প্লেয়ার পাঠানো হয়েছে। আই লিগ খেলতে হবে, অনূর্ধ্ব-২৩ লিগ খেলতে হবে। ধাপে ধাপে দেশের সেরা লিগে খেলা উচিত।' এই পরিকল্পনা নিয়ে এগোনোর জন্য একটি প্রক্রিয়াও বেছে নিয়েছে ইস্টবেঙ্গলের কোচিং দল। বিনো জানান, তিন-চার বছরের জন্য ফুটবলার সই করানো হবে। তারপর প্লেয়ারদের লোনে পাঠানো হবে। তাঁরাই ফিরে এসে আইএসএল খেলবে। একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় এগোতে চাইছে ইস্টবেঙ্গল। 

দীর্ঘদিনের খরা কাটিয়ে গতবছর জয়ে ফিরেছে লাল হলুদ। তারপর ব্যাক টু ব্যাক ট্রফি। তবে সেই দিনটির কথা বিনোর এখনও মনে আছে। সেদিনই মনে মনে কলকাতা লিগ জেতার প্রতিজ্ঞা করে ফেলেন। ফ্ল্যাশব্যাকে গিয়ে বিনো জানান, 'আমরা দ্বিতীয় বছর দ্বিতীয় স্থানে শেষ করি। শেষ ম্যাচে মহমেডানের কাছে আমরা এক গোলে হারি। ডেভিডের গোলে হেরেছিলাম। সেদিনই ভেবে নিই পরের বছর চ্যাম্পিয়ন হতে হবে। ক্লাব আমাদের সবরকম সহযোগিতা করেছে।' সেদিন ডেভিডের ওপর চটে গেলেও, লাল হলুদ জার্সিতে মিজো স্ট্রাইকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন ইস্টবেঙ্গলের জুনিয়র দলের কোচ। এদিন জয়সূচক গোলের পাশাপাশি পেশ কয়েকটা সুযোগও তৈরি করেন ডেভিড। গত দু'মাস টানা পরিশ্রম করেছে দল। আপাতত কয়েকদিনের বিশ্রাম। তারপর আবার নতুন পরিকল্পনা শুরু। এবার আরএফডিএল হবে কিনা সেই বিষয়ে কোনও নিশ্চয়তা নেই। তাই অন্যান্য টুর্নামেন্ট খেলার কথা ভাবা হচ্ছে। বিনো জানান, দেবব্রত সরকার, থংবয় সিংটোর সঙ্গে আলোচনা করেই এই বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর লাল হলুদ আবিরে রাঙিয়ে দেওয়া হয় দলের কোচ এবং ফুটবলারদের। মালা পরিয়ে দেওয়া হয় বিনোকে। সমর্থকদের এই ভালবাসা পেয়ে আপ্লুত ইস্টবেঙ্গলের জুনিয়র দলের কোচ।