আজকাল ওয়েবডেস্ক: হরমনপ্রীত কৌর ও ফতিমা সানা কেউ কারও সঙ্গে হ্যান্ডশেক করলেন না। এশিয়া কাপের পুনরাবৃত্তি দেখা গেল মহিলাদের বিশ্বকাপের ভারত-পাক ম্যাচে। হরমনপ্রীত কৌর ও ফতিমা সানা একে অপরের সঙ্গে হ্যান্ডশেক করেন কিনা, তা নিয়ে চলছিল জল্পনা। 

 ইদানীং ভারত-পাক ম্যাচ মানে ক্রিকেট কম, রাজনৈতিক কথাবার্তাই বেশি। এসিয়া কাপে দেখা গিয়েছে দুই প্রতিবেশি দেশের ক্রিকেটাররা একে অপরের সঙ্গে হাত মেলাননি। আজ রবিবার মহিলাদের বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। সেই ম্যাচেও এশিয়া কাপের ছায়া বিস্তার করেছে। এক পাক সাংবাদিকের প্রশ্ন নেওয়াই হল না।

আরও পড়ুন:  'আমি অবসর নেব না...', নেতৃত্ব যাওয়ার দিন ভাইরাল রোহিতের মন্তব্য

সেই পাক সাংবাদিক ভারত অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌরের উদ্দেশে প্রশ্ন করেছিলেন। যদিও সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না হরমনপ্রীত। ভারতের মহিলা দলের বোলিং কোচ আবিষ্কার সালভি এসেছিলেন। তাঁর উদ্দেশেই প্রশ্ন ছুড়ে দেন সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক। পাক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ''ভারত অধিনায়ককে আমার প্রশ্ন। উনি নেই কিন্তু আপনি যেহেতু আছেন তাই আপনাকেই প্রশ্নটা করছি। ভারত ও পাকিস্তানের মহিলা দলের মধ্যে বন্ধুত্ব বেশ ভালই। আপনি কি মনে করেন এশিয়া কাপের তিক্ততা এবার মহিলাদের ক্রিকেটেও দেখা যাবে?''
সালভির উত্তর দেওয়ার আগেই ভারতের মিডিয়া ম্যানেজার হস্তক্ষেপ করেন। বলে দেন, ''মনে করিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই প্রশ্নটা নেওয়া হচ্ছে না। অন্য প্রশ্নে যাচ্ছি আমরা'' 
খেলার আগে এমন ঘটনার অবতারণা হয়েছিল। টসের সময়ে দেখা গেল হরমনপ্রীত ও ফতিমা কেউ সৌজন্য বিনিময় করলেন না। একে অপরের সঙ্গে করমর্দনও করলেন না। পাকিস্তান টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। ভারত প্রথমে ব্যাটিং করবে। খেলা চলে গেল ব্যাকসিটে। তার পরিবর্তে হ্যান্ডশেক বিতর্ক মাথাচাড়া দিল। 

এশিয়া কাপে নাটকের পর নাটক হয়েছে। এশিয়া কাপ জুড়ে বিতর্ক আর বিতর্ক। খেলাতে বিতর্ক। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানেও তাই। ভারত চ্যাম্পিয়নের ট্রফি নিতে অস্বীকার করে। পাকিস্তান অধিনায়ক সলমন আলি আঘা আরও ন্যক্করজনক ঘটনা ঘটিয়েছেন। সর্বসমক্ষে তিনি রানার্স আপের চেক ছুড়ে ফেলে দিয়েছেন। ৭৫ হাজার মার্কিন ডলারের চেক সলমন আলি আঘার হাতে তুলে দেন মহসিন নকভি। মঞ্চ থেকে নেমে যাওয়ার সময়ে সলমন আলি আঘা সেই চেক ছুড়ে ফেলে দেন। তাঁর কাণ্ড দেখে মঞ্চে উপস্থিত সবাই হতবাক

টানটান উত্তেজনার ফাইনালের শেষেও রইল টানটান নাটক। পাকিস্তানকে চরম শিক্ষা দিল ভারতীয় ক্রিকেটাররা। দুবাইয়ের রাতে সূর্যোদয়ের এক ঘণ্টা পরে শুরু হয় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। মঞ্চে তখন ছিলেন এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান মহসিন নকভি। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেটারদের ধর্নুভাঙা পণ। কিছুতেই নকভির হাত থেকে তাঁরা ট্রফি নেবেন না। শেষমেশ চূড়ান্ত অসম্মানিত-অপমানিত নকভি ট্রফি নিয়েই চলে গেলেন। ভারতীয় ক্রিকেটাররা ট্রফি ছাড়াই উদযাপন করেন।

আরও পড়ুন: ক্যাপ্টেন্সি গেল, বিশ্বকাপেও অনিশ্চিত হয়ে পড়লেন রোহিত, হিটম্যানের ভবিতব্য পড়ে ফেললেন প্রাক্তন ওপেনার ...