আজকাল ওয়েবডেস্ক: ২০২৬ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বল গড়াবে ভারত ও শ্রীলঙ্কায়। আর সেই বিশ্বকাপের ছাড়পত্র জোগাড় করে ফেলল নেপাল ও ওমান। সংযুক্ত আরব আমিরশাহী সামোয়াকে হারিয়ে দেওয়ার পরই এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের বাছাইপর্ব থেকে টিকিট নিশ্চিত করে ফেলে এই দুই দল।
আরব আমিরশাহি ৭৭ রানে হারায় সামোয়াকে। এই জয়ের ফলে সুপার সিক্সের পয়েন্ট টেবিলে তিন ম্যাচ শেষে নেপাল ও ওমানের সংগ্রহ ৬ পয়েন্ট। আরব আমিরশাহী চার ম্যাচে সংগ্রহ করেছে ৪ পয়েন্ট।
এই অঞ্চলের বাছাইপর্বে প্রতিটি দল খেলবে ৫টি করে ম্যাচ। ফলে নেপাল ও ওমান আরও দু'টি করে ম্যাচ খেলবে। আরব আমিরশাহী ও কাতারের ম্যাচ বাকি একটি করে। কাতার ইতিমধ্যেই ছিটকে গিয়েছে বিশ্বকাপের দৌড় থেকে।
লড়াইটা এখন দাঁড়িয়ে গিয়েছে আরব আমিরশাহী ও ও জাপানের মধ্যে। দু’দলই ৬ পয়েন্টে পৌঁছতে পারবে। জয়ী দলই বিশ্বকাপের ২০-নম্বর দলের টিকিট পাবে। তবে যদি হেরে যায় তাহলে অপেক্ষা বাড়বে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত। সেদিন জাপান বনাম ওমানের খেলা। সেক্ষেত্রে ওই ম্যাচই নির্ধারণ করবে শেষ দলটি কে হবে।
২০২৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হবে ৭ ফেব্রুয়ারি। ফাইনাল ৮ মার্চ। সেই মেগামঞ্চে খেলতে দেখা যাবে নামিবিয়া ও জিম্বাবোয়েকে। আফ্রিকার দ্বিতীয় দেশ হিসেবে বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পেল তারা। আফ্রিকা আঞ্চলিক যোগ্যতা অর্জন পর্বের সেমিফাইনালে কেনিয়াকে হারিয়ে বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেয়েছে জিম্বাবোয়ে। ১৭ নম্বর দেশ হিসাবে টি২০ বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে জিম্বাবোয়ে।
টি২০ বিশ্বকাপে আয়োজক দেশ হিসাবে খেলবে ভারত এবং শ্রীলঙ্কা। এছাড়া আফগানিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আমেরিকা, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, কানাডা, নেদারল্যান্ডস, ইতালি, নামিবিয়া, জিম্বাবোয়ে, ওমান ও নেপাল যোগ্যতা অর্জন করেছে। বকি রয়েছে আরও একটি জায়গা।
চারটি গ্রুপে ভাগ করা হবে দলগুলিকে। প্রতিটি গ্রুপে থাকবে পাঁচটি করে দল। ফাইনাল হবে আহমেদাবাদ বা কলম্বোয়। ফাইনালের ভেন্যু নির্ভর করছে পাকিস্তানের উপর। পাকিস্তান ফাইনালে উঠলে কলম্বোয় হবে ফাইনাল ম্যাচ। অন্যথায় আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে বসবে ফাইনালের আসর।
