আজকাল ওয়েবডেস্ক: মোহনবাগানের এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলতে না যাওয়া নিয়ে বিক্ষোভ চরমে। বেশ কয়েকদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভন্ন ফ্যানস ক্লাব বিক্ষোভ প্রকাশ করছিল। সেটা চরমে পৌঁছল এদিন। মঙ্গলবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের প্র্যাকটিস মাঠে অনুশীলন ছিল মোহনবাগানের। অনুশীলন চলাকালীন স্টেডিয়ামের গেটের বাইরে বিক্ষোভ জানায় একদল সমর্থক। মেরিনার্সদের বেশ কয়েকটি ফ্যান ক্লাব মিলে বিক্ষোভ জানায়। এরপর পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ায় পুলিশকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। তবে এখানেই সমস্যা মেটেনি। গেটের বাইরে প্র্যাকটিস সেরে বেরোনোর সময় প্লেয়ারদের গাড়ি ঘেরাও করা হয়। থামানো হয় জেমি ম্যাকলারেন, জেসন কামিন্স এবং দিমিত্রি পেত্রাতোসদের গাড়ি। সমর্থকদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে অজি ব্রিগেড। গাড়ি থেকে নেমে সাপোর্টারদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলতে দেখা যায় ম্যাকলারেন, কামিন্স এবং পেত্রাতোসকে।
ঠাণ্ডা মাথায় সমর্থকদের বোঝানোর চেষ্টা করেন ম্যাকলারেন এবং কামিন্স। তাঁরা বলেন, তাঁদের দেশ ইরানে গিয়ে খেলার অনুমতি দেয় না। সেই কারণে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলতে যাওয়া সম্ভব হয়নি তাঁদের। জেমি তাঁদের সিদ্ধান্তকে সম্মান করার অনুরোধ জানান। দুই অজি তারকা মাথা ঠাণ্ডা রাখলেও, কিছুটা ঔদ্ধত্য দেখান দিমি। আকার-ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দেন তিনি সন্তুষ্ট নয়। যাতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে যায় সমর্থকরা। বাগান সাপোর্টাররা এএফসিতে না খেলতে যাওয়া নিয়ে অজি ত্রয়ীকে সরাসরি প্রশ্ন করে। শেষমেষ পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব হয়। পুলিশের ঘেরাটোপে গাড়িতে ওঠে অজি ফুটবলাররা। এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টু খেলতে ইরানে যায়নি মোহনবাগান। যার ফলে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে সাসপেন্ড করা হয় মোহনবাগানকে। যা মেনে নিতে পারেনি সমর্থকরা।
এদিন যে ঝামেলা হতে পারে তার আগাম আভাস পাওয়া গিয়েছিল। যার ফলে অনুশীলনের শুরু থেকেই স্টেডিয়াম চত্বরে পুলিশ ছিল। তিন নম্বর, পাঁচ নম্বর, প্র্যাকটিস গ্রাউন্ডের বাইরে পুলিশে ছয়লাপ ছিল। সমর্থকরা মোহনবাগান ম্যানেজমেন্টের কাছে বেশ কয়েকটা দাবি রাখে। তারমধ্যে প্রথম দাবি, তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট ম্যানেজমেন্টকে। দ্বিতীয়ত, পরের মরশুম থেকে সুযোগ এলে এসিএলে খেলতেই হবে। তৃতীয়ত, পাশাপাশি সব টুর্নামেন্ট খেলতে হবে। এই বিষয়ে মোহনবাগানের পক্ষ থেকে এখনও কিছু জানানো হয়নি।
