আজকাল ওয়েবডেস্ক: শেষ বার ২০১৬ সালে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। তার পরে দশ বছর কেটে গেলেও সানরাইজার্স আর আইপিএল খেতাব জিততে পারেনি। শক্তিশালী দল গড়েও বারংবার ব্যর্থ হতে হচ্ছে সানরাইজার্সকে।
নতুন মরশুমের জন্য বরুণ অ্যারনকে বোলিং কোচ নিযুক্ত করল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। আগামী আইপিএলে নতুন ভূমিকায় দেখা যাবে ভারতের প্রাক্তন পেসারকে। সোমবার নিজেদের এক্স হ্যান্ডেলে এই খবর জানায় দক্ষিণের ফ্র্যাঞ্চাইজি। সানরাইজার্সের পক্ষ থেকে লেখা হয়, 'আমাদের কোচিং স্টাফে শক্তিশালী সংযোজন। আমাদের নতুন বোলিং কোচ হিসেবে বরুণ অ্যারনকে স্বাগত।'
বরুণের আগে নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন পেসার জেমস ফ্রাঙ্কলিন গতবছর হায়দরাবাদের বোলিং কোচ ছিলেন। তার আগে ছিলেন ডেল স্টেইন। বছরের শুরুতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন বরুণ। এবার ১৯তম আইপিএলে ৩৫ বছরের প্রাক্তন তারকাকে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বোলিং কোচ হিসেবে দেখা যাবে। সেই বরুণ অ্যারন ইঙ্গিত দিয়েছেন আগামী মরশুমে হয়তো মহম্মদ সামিকে দেখা যাবে না হায়দরাবাদের জার্সিতে।
বরুণ অ্যারন এর আগে সামি ও ঈশান কিষানের সঙ্গে খেলেছেন। টিমমেট ছিলেন। সেই বরুণ অ্যারন বোলিং কোচ হয়ে আসার পরে সামির জায়গাই টলমলে হায়দরাবাদে। ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজে চোট সমস্যার জন্য খেলতে পারেননি সামি। ইংল্যান্ড সিরিজে তাঁকে রাখাই হয়নি।
সামি বা ঈশান, দুজনের কেউই গত আইপিএলে নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। সামিকে ১০ কোটি টাকায় কেনা হয়েছিল। বঙ্গপেসার ৬ ম্যাচে মাত্র ৯ উইকেট নেন।

১১.২৫ কোটি টাকার বিনিময়ে সানরাইজার্স কিনেছিল ঈশানকে। তিনি ১৪ ম্যাচে করেন ৩৫৪ রান। প্রথম ম্যাচেই সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন ঈশান কিষান।
বরুণ অ্যারন নতুন দায়িত্ব নেওয়ায় দুই তারকা ক্রিকেটারের সময় শেষ হতে চলেছে হায়দরাবাদে। দিল্লি ডেয়ারডেভিলস, গুজরাট টাইটান্স, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু, রাজস্থান রয়্যালস এবং পাঞ্জাব কিংসের হয়ে খেলেন। ২০২২ সালে শেষবার আইপিএলের ম্যাচে দেখা যায় তাঁকে। গুজরাট টাইটান্সের হয়ে মাত্র দুটো ম্যাচ খেলেন। দুটো উইকেট নেন। গড় ২৬। মোট ৫২ ম্যাচে ৪৪ উইকেট। ২০২২ সালে গুজরাট টাইটান্সের আইপিএল জয়ী দলের সদস্য ছিলেন তিনি।
সামি কেরিয়ারের প্রায় শেষের দিকে পৌঁছে গিয়েছেন। ফিটনেসে সমস্যা রয়েছে। বরুণ অ্যারন অতীতে এই সামি ও ঈশান কিষান প্রসঙ্গে বলেছিলেন, তাঁদের হয়তো পরের মরশুমে সানরাইজার্স হায়দরাবাদে দেখা যাবে না।

বিজয় হাজারে ট্রফিতে প্রথম নজর কেড়েছিলেন বরুণ। ১৫৩ গতিতে বল করতেন। ভারতে বরাবরই ফাস্ট বোলারের আকাল। সেই তুলনায় শুরুতে আশা জাগান। গতি এবং ধারাবাহিকতা দিয়ে বিশ্বক্রিকেটে জায়গা দখলের ইঙ্গিত দেন বরুণ। অস্ট্রেলিয়ার সফরগামী ইমার্জিং প্লেয়ারের দলে ডাক পান। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজের দলে ডাক পান। কিন্তু সুযোগ পাননি। গোটা সিরিজ বাইরে বসে কাটাতে হয় তাঁকে। ২০১১ অক্টোবরে একদিনের ক্রিকেটে অভিষেক হয়।
তার একমাস পরে টেস্টে হাতেখড়ি হয়। কিন্তু নতুন প্রজন্মের পেসাররা উঠে আসায় সুযোগ কমে যায়। ন'টা টেস্ট এবং একদিনের ম্যাচ খেলেন। লাল বলের ক্রিকেটে ১৮ উইকেট তুলে নেন। গড় ৫২.৬১। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে ১১ উইকেট নেন। গড় ৩৮.০৯। বিজয় হাজারে ট্রফিতে গোয়ার বিরুদ্ধে শেষ প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলেন বরুণ। ছয় ওভারে ২৯ রানে জোড়া উইকেট তুলে নেন। ৩১ রানে জেতে ঝাড়খণ্ড। এবার দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করতে চলেছেন ভারতের প্রাক্তন জোরে বোলার।
আরও পড়ুন: আগ্রাসন কোথায়! 'নায়ক হওয়ার চেষ্টা করো, নইলে কেউ মনে রাখবে না', জাদেজাকে বিঁধলেন দেশের প্রাক্তন তারকা
