আজকাল ওয়েবডেস্ক: ইডেনের পিচ নিয়ে প্রবল অসন্তুষ্ট ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক মাইকেল ভন। দ্বিতীয় দিনেই তিনি পিচের চরিত্র পড়তে পেরে লিখেছিলেন, ভয়ঙ্কর পিচ কলকাতায়। সেই ভন ভারতের হারের পরে লিখলেন, ''এরকম ধরনের পিচ বানালে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে তোমরা হারবেই। হারেরই যোগ্য তোমরা। দুর্দান্ত জয় দক্ষিণ আফ্রিকার।''
তবে পিচ নিয়ে বিতর্কে জল ঢেলে দিয়েছেন ভারতের হেডস্যর গৌতম গম্ভীর। তিনি খেলার শেষে বলেছেন, উইকেটে ‘জুজু’ ছিল না।
গম্ভীর বলেন, ''এটা কোনওভাবেই খেলতে না পারার পিচ নয়। আমরা যেমন পিচ চেয়েছিলাম, ঠিক তেমনটাই তৈরি হয়েছে। কিউরেটর সুজন মুখার্জি অত্যন্ত সহযোগিতা করেছেন। যারা মানসিকভাবে শক্ত থেকে ডিফেন্স ভাল করেছে, তারাই রান করেছে। এই উইকেট আপনাকে পরীক্ষা করায়, মানসিকভাবে কতটা শক্ত, সেটাই বড় ব্যাপার।'' টিম ম্যানেজমেন্ট যে ধরনের পিচ চেয়েছিল, কিউরেটর ঠিক সেটাই তৈরি করে দিয়েছেন। চতুর্থ ইনিংসে রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ৯৩ রানে গুটিয়ে যায় ভারত।
ইডেনে ভারতের লজ্জাজনক আত্মসমর্পণ দেখার পরে ক্রিকেটভক্তদের চোখে ভেসে উঠছে ১৯৯৭ সালে ব্রিজটাউনে অনুষ্ঠিত ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট। প্রায় একইরকম পরিস্থিতি ছিল সেবারও। ১২০ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ভারতের ব্যাটিং ধসে গিয়েছিল ৮১ রানে। তখন ভারতীয় ক্রিকেটে শচীন তেণ্ডুলকর, সৌরভ গাঙ্গুলি, রাহুল দ্রাবিড়, মহম্মদ আজহারউদ্দিনদের জমানা। সেই ভারত বার্বাডোজে জিততে পারেনি। ম্যাচ হেরেছিল ৩৮ রানে।
ইডেনে ভারত হারল প্রায় একই রানের ব্যবধানে। এই ভারতীয় দলে নেই বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মারা। এই ভারত নতুন ভারত। গৌতম গম্ভীরের ভারত। যাঁরা রানির দেশ থেকে টেস্ট সিরিজ রোমাঞ্চকর ভাবে ড্র করে ফিরেছে। সেই তারাই ইডেনে দ্বিতীয় ইনিংসে তিন ঘণ্টাও ব্যাট করতে পারল না। দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয়েছিল সকাল এগারোটা নাগাদ। আর ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হল আড়াইটা নাগাদ।
এই প্রজন্ম দেখেনি শেন ওয়ার্নের স্পিন। এখনকার প্রজন্মের মহাতারকা ব্যাটারদের সামলাতে হয়নি মুথাইয়া মুরলীধরনের মতো স্পিনারকে। দক্ষিণ আফ্রিকার সাইমন হার্মার ইডেনে দৈত্য হয়ে ধরা দিলেন। কেশব মহারাজও ভেল্কি দেখালেন।
ইরফান পাঠানের মতো প্রাক্তন ক্রিকেটার জানিয়েছেন, ভারতীয় ব্যাটারদের স্পিন খেলার দক্ষতা হ্রাস পেয়েছে।
