কৃশানু মজুমদার: খালিদ জামিলের ছেলেরা মরিয়া লড়াই তুলে ধরলেন ইরানের বিরুদ্ধে। প্রথমার্ধে ইরানকে আটকে রাখলেও দ্বিতীয়ার্ধে মেহেদি তারেমিরা ম্যাচ নিজেদের সাজঘরে নিয়ে যান। শেষমেশ ইরান ৩-০ গোলে হার মানায় ভারতকে।
কাফা নেশনস কাপে ভারত বনাম ইরান ম্যাচ কি দেখেছেন মজিদ বিশকর? ময়দানের একসময়ের বাদশাকে যখন ফোনে ধরা হল ইরানের খোরামশায়ারে, তখন তিনি কাজে ব্যস্ত। ভারত-ইরান ম্যাচ তাঁর দেখা হয়নি। কিন্তু ম্যাচের রেজাল্ট শুনেছেন। বলছেন, ''এটা ভারতের জন্য ভালই হল। ভাল রেজাল্ট বলতে হবে।''
আরও পড়ুন: রোহিত–বিরাটের শূন্যস্থান ভরবে কে? প্রশ্ন তুলে দিলেন সতীর্থ ক্রিকেটারই
মজিদ রূপকথা এখনও কলকাতা ময়দানের ঘাসে লেখা রয়েছে। তিনি এখনও ইস্টবেঙ্গলের খবরাখবর রাখেন। পরিচিত সাংবাদিকদের কাছে নিজের ফেলে আসা খেলোয়াড়জীবনের পাতা তুলে ধরে বলেন, ''আমার সময়ে ইরান এশিয়ার অন্যতম শক্তিধর ফুটবল খেলিয়ে দেশ ছিল। আমি জাতীয় দলের হয়ে খেলেছিলাম।'' তাঁকে যাঁরা দেখেছেন, তাঁরা বলে থাকেন, মজিদের মতো বিদেশি ফুটবলার ভারতে কেউ আসেননি। ইরানের শিল্পী ফুটবলার অবশ্য নিজেকে নিয়ে একেবারেই অহংকারী নন। তিনি মাটির মানুষ।
এদিনের ম্যাচ প্রসঙ্গে মজিদ বলছেন, ''ইরান খুব শক্তিশালী দল। মেহেদি তারেমি মিলানের প্লেয়ার। পরিবর্ত হিসেবে নেমে আজ গোল করেছে শুনলাম। তবে ইরানীয়রা কিন্তু এই রেজাল্টে সন্তুষ্ট নন। ওরা ভেবেছিল ইরান আরও বেশি গোল দেবে। ভারত লড়েছে। এটা ভারতের জন্য ভাল রেজাল্ট বলতে হবে।''
একসময়ে মজিদের পায়ে ভাগ্য নির্ধারিত হত ম্যাচের। তাঁর পায়ে বল পড়া মানেই ছিল শিল্প। সেই মজিদ এখন বৃদ্ধ হয়েছেন। কিন্তু ফুটবল তাঁকে এখনও আকর্ষণ করে। জানতে চান কলকাতার ফুটবলের হাঁড়ির খবর। জানতে চান ইস্টবেঙ্গলের খবর। ভারত যে প্রথমার্ধে ইরানকে আটকে রেখেছিল সেটা জানেন বাদশা। বলছেন, ''শুনলাম প্রথমার্ধে খেলার ফল ছিল ০-০। দ্বিতীয়ার্ধে ইরান সিরিয়াস হয়ে যায়। আরও বেশি আক্রমণ করে। তা থেকেই গোলগুলো পেয়ে যায়।''
এবারের কাফা নেশনস কাপে ভারত শুরুটা ভালই করেছিল। প্রথম ম্যাচে তাজিকিস্তানকে মাটি ধরিয়েছিলেন খালিদ জামিলের ছেলেরা। দ্বিতীয় ম্যাচে ইরান অনেক শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। ফিফার ক্রমতালিকায় ২০ নম্বর। আর ভারত সেখানে ১৩৩-এ। দুই দেশের শক্তির মধ্যে জমিন আসমান পার্থক্য। খালিদ জামিল জানতেন ইরানের আক্রমণ ঝড়ের মতো আছড়ে পড়বে। সেই জন্য তিনি ডিফেন্সে লোক বাড়িয়ে ইরানের আক্রমণ অঙ্কুরে বিনষ্ট করার চেষ্টা করেছিলেন। সেই কৌশল খেটেও গিয়েছিল প্রথমার্ধে। ম্যাচের ৫৯ মিনিটে ইরান প্রথম গোলটি পায়। তার পরে আরও দুটি গোল হয়। মজিদ বলছেন, ''ম্যাচের রেজাল্ট নিয়ে আমার বিশেষ কিছুই বলার নেই তবে ইরানের আমজনতা কিন্তু ম্যাচের এই ফলাফলে সন্তুষ্ট নন।'' কিছুক্ষণ কথা বলেই ব্যস্ত হয়ে পড়েন বাদশা।
আরও পড়ুন: ডার্বির নায়ক দিমিকেই ছাঁটাই করল ইস্টবেঙ্গল, বড় ঘোষণা লাল-হলুদের...
