আজকাল ওয়েবডেস্ক: জল্পনাই সত্যি হল। কেএল রাহুলকে ছেড়ে দিল লখনউ সুপার জায়ান্টস। একটি সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থার রিপোর্টে তেমনই দাবি করা হয়েছে। মেগা নিলামের আগে ঘর গোছানোর চূড়ান্ত পর্যায় সঞ্জীব গোয়েঙ্কার ফ্র্যাঞ্চাইজি। কোর দলকে ধরে রাখতে চায় এলএসজি। তারমধ্যে নেই কেএল রাহুলের নাম। রিটেনশনের তালিকায় প্রথম তিনে আছেন নিকোলাস পুরান, মায়াঙ্ক যাদব এবং রবি বিষ্ণোই। অনেকদিন ধরেই রাহুলকে ছেড়ে দেওয়ার কথা শোনা যাচ্ছিল। জানা গিয়েছিল, মেগা নিলামে দেখা যাবে লখনউয়ের প্রাক্তন অধিনায়ককে। এবার সেটাই সত্যি হতে চলেছে। নেতৃত্বের দৌড়ে এগিয়ে পুরান। অধিনায়কত্বের পাশাপাশি উইকেটকিপিং করতে পারবেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিধ্বংসী ব্যাটার। লখনউ দলের ঘনিষ্ট এক সূত্র জানান, 'পুরানের ওপর ভরসা রাখতে চাইছে লখনউ। গত বছরও কিছু ম্যাচে ও নেতৃত্ব দিয়েছে। জাতীয় দলে অধিনায়কত্ব করারও অভিজ্ঞতা আছে। তাই ওর দক্ষতার ওপর ভরসা রাখা হচ্ছে। ও ছাড়া মায়াঙ্ক যাদব এবং রবি বিষ্ণোইকে রাখা হবে।'
২০২৩ সালে ১৬ কোটিতে নিকোলাস পুরানকে নেয় এলএসজি। দ্রুত আইপিএলের সবচেয়ে দামি তারকাদের তালিকায় ঢুকে পড়েন ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার। গত মরশুমে রাহুলের অনুপস্থিতিতে দলকে নেতৃত্বও দেন পাওয়ার হিটার। যেকোনও সময় ম্যাচের রং বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। ২০১৭ সালে ৩০ লক্ষতে পুরানকে কেনে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। তারপর থেকে শুধুই অগ্রগতি হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের তারকা ক্রিকেটারের। ১৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় বল করা মায়াঙ্ক যাদবকেও রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় লখনউ। তরুণ পেসার তাঁদেরই আবিষ্কার। চোটপ্রবণ হলেও, আগের আইপিএলে তাবড় তাবড় ব্যাটারদের চমকে দেন তিনি। রবি বিষ্ণোইকে রিটেন করে বোলিং বিভাগ আরও মজবুত করতে চায় এলএসজি। এই তিনজন ছাড়াও রেখে দেওয়া হতে পারে মহসিন খান এবং আয়ুশ বাদোনিকে।
