আজকাল ওয়েবডেস্ক: ২০০৭-এর আজকের দিনেই পাকিস্তানকে হারিয়ে ভারত প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতে।
২০০৭-এর পরে কেটে গিয়েছে ১৮টি বছর। এখনও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ভারতের পাক-শাসন চলছে। চলতি এশিয়া কাপে এখনও পর্যন্ত দু'বার মুখোমুখি হয়েছে ভারত ও বাংলাদেশ। দু'বারই ভারত জিতেছে খুব সহজে।
এই ২০২৫-এ দাঁড়িয়ে পাঠান বিশ্বকাপ জয়ের বর্যপূর্তিতে খোঁচা দিচ্ছেন পাকিস্তানকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, ''২০০৭ কী দিনই না ছিল। আমাদের বিশ্বজয়ের স্বপ্নপূরণ হয়। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে পাকিস্তানকে নিয়মিত ব্যবধানে হারানোর শুরু তখন থেকেই।'' ফাইনালে পাঠান ১৬ রানে তিনটি উইকেট নিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: ভারতকে হারানোর জন্য বাইরে থেকে আক্রমের চাল, আফ্রিদির জন্য কিংবদন্তির পরামর্শ ...
এদিকে ভারতের কাছে হারের শোক এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি পাকিস্তান। অভিষেক শর্মার প্রতি ওপেন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন শোয়েব। ভারতের কাছে বিধ্বস্ত হওয়ার পরে প্রাক্তন পাক পেসার শোয়েব আখতার অভিষেক শর্মাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন। পাকিস্তানের এক টিভি শোয়ে রাওয়ালপিণ্ডি এক্সপ্রেস বললেন, ''নতুন বলে হাসান আলি বল করুক অভিষেক শর্মাকে। দেখব, কীভাবে ওকে মারে অভিষেক শর্মা। পরীক্ষা অন্তত করুক ওর।''
সুপার ফোরে অভিষেক শর্মার বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে পাকিস্তান শুরুতেই ছিটকে যায় ম্যাচ থেকে। অভিষেক শর্মা একাই ম্যাচ নিয়ে চলে যান ভারতের ক্যাম্পে। তার পরই পাকিস্তানের টিভি চ্যানেলে শোয়েব আখতার জানান, তিনি চান নতুন বলে হাসান আলি বল করুন অভিষেক শর্মাকে।
সূর্যর ভারতকে থামানোর ক্ষমতা নেই পাকিস্তানের। সেটাই দেখা গিয়েছে এশিয়া কাপের সুপার ফোরের লড়াইয়ে। ভারত জেতার পরে শোনা গেল 'চক দে'। ম্যাচ জেতায় সুপার ফোরের পয়েন্ট তালিকায় সবার উপরে ভারত।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ১৭১ খুব একটা খারাপ স্কোর নয়। পাকিস্তান প্রথমে ব্যাট করে তুলেছিল ৫ উইকেটে ১৭১ রান। সেই রান তাড়া করতে নেমে ভারত দাদাগিরি দেখাল। অভিষেক শর্মা ও শুভমান গিলের ব্যাট শুরু থেকেই চলতে শুরু করল। শাহিন আফ্রিদিকে প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে অভিষেক রান তাড়া শুরু করেছিলেন। খেলা যত এগোল ভারতের দুই ওপেনার ততই মারমুখী ব্যাটিং শুরু করে দিলেন। অভিষেক শর্মা ও শুভমান গিলের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ধুয়ে গেল পাক বোলিং আক্রমণ। ৯.৫ ওভারেই ভারত ১০৫ করে ফেলে। শুভমান গিল ৪৭ রানে আশরাফের বলে বোল্ড হন। তার আগে অবশ্য চোট পান গিল।
তাতে ছন্দ নষ্ট হয়। অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব খাতা না খুলেই ফেরেন। ভারত দ্রুত গিল ও সূর্যের উইকেট হারায়। ১০৫ রানে এক উইকেট থেকে ১০৬ রানে ২ উইকেট হয়ে যায়। তাতেও দমে যাননি অভিষেক। তিনি রুদ্রমূর্তি ধরেন। নাগাড়ে আক্রমণ করে যান পাক বোলারদের। পাক বোলাররা কোথায় বল ফেলবেন তাই বুঝে উঠতে পারছিলেন না। শেষমেশ আবরারের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। যাওয়ার আগে ৩৯ বলে ৭৪ করে যান তিনি। ৬টি চার ও পাঁচটি ছক্কা মারেন তিনি। আউট হওয়ার আগের বলেই ছক্কা মেরেছিলেন অভিষেক। পরের বলেও মারতে গিয়ে ডাগ আউটে ফেরেন। বাকি কাজটা সারেন তিলক (১৯ বলে ৩০*) ও হার্দিক (৭*)। ৭ বল বাকি থাকতে ছয় উইকেটে ভারত ম্যাচ জেতে। একটা সময়ে মনে হচ্ছিল পাকিস্তান বোধহয় লড়াইয়ে ফিরে এসেছে। কিন্তু অভিষেক ও গিল যে মঞ্চে ভারতকে বসিয়ে দিয়ে যান, তাতে ম্যাচ জেতা ছিল কেবল সময়ের অপেক্ষা। ভারত কুব সহজেই ম্যাচ জিতে বুঝিয়ে দেয় তারা পাকিস্তানের থেকে বহু এগিয়ে।
What a day it was back in 2007. Where our World Cup dream was full filed. Beating Pakistan on regular basis started there in t20 cricket. pic.twitter.com/dRfa5cQPuh
— Irfan Pathan (@IrfanPathan)Tweet by @IrfanPathan
