আজকাল ওয়েবডেস্ক: ২০২৫ সালে শুধু ভারতের দর্শক-সমর্থকদের মন জয় করেননি অভিষেক শর্মা। বরং প্রতিবেশী পাকিস্তানেও ছড়িয়েছেন জনপ্রিয়তার রেশ।

গুগলের ২০২৫ সালের সার্চ ট্রেন্ডস অনুযায়ী, পাকিস্তানে চলতি বছরে সর্বাধিক-সার্চ করা অ্যাথলিট ছিলেন ভারতীয় এই তরুণ ওপেনার।

এমনকী, তিনি ভারতের থেকেও বেশি সার্চ ভলিউম পেয়েছেন পাকিস্তানে। তার পরে তালিকায় রয়েছেন পাকিস্তানের হাসান নবাজ, ইরফান খান নিয়াজি, সাহিবজাদা ফারহান এবং মহম্মদ আব্বাস।

অভিষেকের এই জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ ২০২৫ সালের এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তাঁর দাপুটে পারফরম্যান্স।

গ্রুপ পর্যায়ে ১৩ বলে ৩১ রানের ছোট্ট ইনিংসের পর সুপার ফোরে ৩৯ বলে ৭৪ রানের ঝোড়ো অর্ধশতরান। চলতি এশিয়া কাপে অভিষেক শর্মার পারফরম্যান্স ধারাবাহিক ভাবে ভারতকে ম্যাচ জিতিয়েছে।

প্রতিপক্ষদের কাছে ভারতীয় ওপেনার বড়সড় হুমকি হয়ে উঠেছিলেন। এশিয়া কাপের ফাইনালে ফাহিম আশরাফ তাঁকে দ্রুত ফিরিয়ে দিলেও ভারত শেষ পর্যন্ত শিরোপা জিতে নেয়।

২০২৫ সাল ছিল অভিষেক শর্মার নিজের পরিচয় প্রতিষ্ঠার বছর। ভারতে তিনি ছিলেন তৃতীয় সর্বাধিক সার্চ করা ব্যক্তি। প্রথম দশজনের তালিকা জুড়ে ছিল কেবল ক্রিকেটারদের নামই।

সবচেয়ে উপরে ছিলেন বিহারের কিশোর প্রতিভা বৈভব সূর্যবংশী এবং দিল্লির প্রিয়াংশ আর্য। ১৩ বছর বয়সে আইপিএলে অভিষেক করেই সংবাদ শিরোনামে উঠে আসেন সূর্যবংশী।

পরে হয়ে ওঠেন টুর্নামেন্টের সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান। অন্যদিকে প্রিয়াংশ দুর্দান্ত পারফরম্যান্স উপহার দেন পাঞ্জাব কিংসের হয়ে। তালিকার শীর্ষ দশে ছিলেন দুই ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটারও।

ছিলেন সহ-অধিনায়ক স্মৃতি মান্ধানা এবং বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচ জেতানো জেমিমা রদ্রিগেজ। ছিলেন চেন্নাই সুপার কিংসের তিন আনক্যাপড ক্রিকেটারও।

তাঁরা শেখ রশিদ, আয়ুষ মাত্রে এবং উর্ভিল পটেল। এমনকী তারাও জায়গা করে নিয়েছেন এই তালিকায়। শেষদিকে ছিলেন ভারতীয় দলে প্রত্যাবর্তনকারী করুণ নায়ার এবং মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের তরুণ ভিগনেশ পুথুর।

এদিকে, ভারতের সামগ্রিক সার্চ তালিকায় দাপট দেখিয়েছে আইপিএল। শীর্ষ পাঁচটি সর্বাধিক-সার্চ স্পোর্টস টুর্নামেন্টের চারটিই ছিল ক্রিকেটভিত্তিক। একমাত্র ব্যতিক্রম প্রো-কাবাডি লিগ।