আজকাল ওয়েবডেস্ক: একেই বলে রাজকীয় সেঞ্চুরি! রাঁচির পরে রায়পুরেও বিরাট সেঞ্চুরির মালিক কোহলি। গোটা দেশ আবেগপ্রবণ। তাঁর স্ত্রী অনুষ্কা শর্মা ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে কোহলির ছবি পোস্ট করে হার্ট ইমোজি দিয়েছেন। ভক্তদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে অনুষ্কার এহেন পোস্ট।
রাঁচিতে বিরাট করেছিলেন ১৩৫ রান। রায়পুরে খেললেন ১০২ রানের ইনিংস। ৫৩ তম একদিনের সেঞ্চুরি হাঁকালেন বিরাট। তিনি এখন ৮৪ আন্তর্জাতিক শতরানের মালিক।
এই নিয়ে বিরাট টানা দু’বার সেঞ্চুরি হাঁকালেন ১১ বার। যা একটা নজির। বিশ্বের আর কোনও ব্যাটারের এমন নজির নেই। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে প্রাক্তন প্রোটিয়া তারকা এবি ডিভিলিয়ার্স। আরও একটি রেকর্ড হল, বিভিন্ন ভেন্যুতে সর্বাধিক ওয়ানডে সেঞ্চুরির (৩৪*) রেকর্ডও এখন তাঁর নামে। তাঁর পরে রয়েছেন শচীন তেণ্ডুলকার (৩৪), রোহিত শর্মা (২৬), হাসিম আমলা (২১), এবি ডিভিলিয়ার্স (২১)। এমন দুর্ধর্ষ সেঞ্চুরির পর চেনা ভঙ্গিতে সেলিব্রেশনে মেতে ওঠেন বিরাট।

বিরাট কোহলি আর বদলালেন না। এই ৩৭-এও তাঁর শরীরী ভাষায় গনগনে আঁচ। সেঞ্চুরির পরে এখনও তিনি আগের মতোই আবেগপ্রবণ। রাঁচিতে সেঞ্চুরির পরে শূন্যে হাত ছুড়েছিলেন। এদিনও লাফালেন। সেই লাফ দেখে মনে হতেই পারে এখনও তিনি আকাশ ছুঁতে চান।
বিরুদ্ধস্রোতের মধ্যেই ব্যাট করছেন তিনি। ড্রেসিং রুমে গৌতম গম্ভীর রয়েছেন। যিনি চান না কোহলিকে। অন্যদিকে বাইশ গজে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা। একই সঙ্গে বিরাট কোহলিকে সামলাতে হচ্ছে ঘরের ও বাইরের শত্রুকে। আর মনস্তাত্বিক খেলায় বিরাট একশোয় দুশো পাবেন। রাঁচির পরে রায়পুরেও শতরান। তাঁকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া যাবতীয় জল্পনা, বিতর্ক উড়িয়ে দিলেন বিরাট কোহলি। এরপরেও কি তাঁর নিন্দুকরা বলবেন, কোহলি তাঁর আসল সময় ফেলে এসেছেন?
নিন্দুকরা মুখ খুলতেই পারেন। বলতেই পারেন, ঘরের মাঠে পাটা উইকেটে কোহলি ব্যাট করছেন। তাঁর সেঞ্চুরিকে খাটো চোখে দেখাতেই পারেন। কিন্তু এরকম চাপ নিয়ে কোহলি কি আগে কখনও খেলেছেন? বিপক্ষকে সামলানোর চাপ থাকে। কিন্তু এই চাপ তো স্বয়ং ঘরের। ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের কর্তারাও তো একপ্রকার বিরাটকে আর খেলাতে চান না। এখানেই বিরাট কোহলি ছাপিয়ে যাচ্ছেন সবাইকে। এখানেই তিনি হয়ে উঠছেন বিরাট। শাখাপ্রশাখা বিস্তার করে দিচ্ছেন। তাঁর ছায়া দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়ে ধরা দিচ্ছে।
