আজকাল ওয়েবডেস্ক: লর্ডসে ভারত-ইংল্যান্ড টেস্টের প্রথম দিনে খেলা হয়েছে ৮৩ ওভার। দ্বিতীয় দিন আরও কম। ৭৫ ওভার খেলা হয়েছে। অর্থাৎ দুই দিনে ১৮০ ওভারের থেকে ২২ ওভার খেলা কম হয়। সেই কারণেই তীব্র সমালোচনা করেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক মাইকেল ভন। ক্রিকেটারদের জরিমানা করা হলেও সমস্যা কমবে না বলে মনে করেন মাইকেল ভন।
ক্রিকেটে মন্থর ওভার রেট দীর্ঘদিনের সমস্যা। আইসিসি সতর্ক এই ব্যাপারে। টেস্টে স্টপ ক্লক নিয়মও চালু করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, একটি ওভার শেষ হওয়ার এক মিনিটের মধ্যেই শুরু করতে হবে নতুন ওভার।
এটা যদি ঠিকঠাক করা না হয়, তাহলে আম্পায়ারদের কাছ থেকে দুটি সতর্কবার্তা পাবে যে দল ফিল্ডিং করছে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে শুরু হয়েছে নতুন নিয়ম। নতুন নিয়ম চালু হলেও লর্ডস টেস্টের প্রথম দু'দিনে ১৮০ ওভার খেলা হল না।

আরও পড়ুন: 'ওকে বলেছিলাম ১০০ করার...', পন্থের রান আউটের জন্য দায়ী তিনি, লোকেশ রাহুল একজনই হন
মন্থর ওভার রেটের কারণে জরিমানা করা হয় খেলোয়াড়দের। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে মন্থর ওভার রেটের জন্য পাকিস্তান দলকে ম্যাচ ফি-র ২৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়।
এর আগে স্টোকসের ইংল্যান্ডকে ১৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়। এই ধরনের শাস্তি দেওয়া হলেও স্লো ওভার রেটের রোগ কমবে না। ভন মনে করেন ক্রিকেটাররা ধনী। তিনি বলেন, ''আমি মনে করি না জরিমানা করে সমস্যার সমাধান করা যাবে। ক্রিকেটাররা এখন অনেক ধনী। আর্থিক জরিমানা ওদের উপরে প্রভাব ফেলবে না। টেস্ট ক্রিকেটে দীর্ঘ দিনের সমস্যা। আমি জানি গরম পড়েছে, আমি জানি কয়েকজন চোট পেয়েছে, কিন্তু যখন পঞ্চম দিনে পৌঁছাই, তখন কিন্তু আমাদের ৯০ ওভার বোলিং করতেই হয়।''
ভনের সংযোজন, আমি বুঝতেই পারি না প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ দিনে কেন এত শম্বুক গতিতে খেলা হয়। পঞ্চম দিনে ৯০ ওভার করতেই হবে। এটা সবারই জানা। তখন তৎপরতা বেড়ে যায়। পঞ্চম দিনে ড্রিঙ্কস ব্রেক হয় না। সময় নষ্টও হয় না। কারণ ৯০ ওভার শেষ করতেই হবে। আমি হলে বিষয়টা সহজ করে দিতাম। ৯০ ওভার বোলিং করতেই হবে। আর এটা করলে খেলায় কিন্তু ফিরে আসবে গতি। ভনের মতে যে গতিটা এখন কম হয়ে গিয়েছে। আর শুধু আর্থিক জরিমানা করে সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।

ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে করে ৩৮৭ রান। ভারতেরও প্রথম ইনিংস শেষ হয় একই রানে। প্রথম ইনিংস টাই হল। ১০ বছর আগে লিডসে ইংল্যান্ড ও নিউ জিল্যান্ড ম্যাচেও টাই হয়েছিল প্রথম ইনিংস। দু'দল প্রথম ইনিংসে তুলেছিল ৩৫০ রান। তারও আগে দক্ষিণ আফ্রিকা-ইংল্যান্ড ম্যাচে এই ঘটনা প্রথম ঘটেছিল।
তৃতীয় দিনের শেষ বেলায় দ্বিতীয় ইনিংসে এক ওভার ব্যাট করার সুযোগ পায় ইংল্যান্ড। আর ওই এক ওভারেই ঘটে যায় যাবতীয় নাটক। ইংল্যান্ডের ওপেনাররা ইচ্ছা করে দেরিতে ব্যাট করতে নামেন। ২ ওভার বল করাই যেত। কিন্তু ইংল্যান্ড ব্যাটারা সময় নষ্ট করায় মাত্র এক ওভার বরাদ্দ হয় ইংল্যান্ডের জন্য। সেখানেও চলে সময় নষ্টের খেলা। জাক ক্রলি নানা বাহানায় সময় নষ্ট করতে থাকেন। যা দেখার পরে চটে যান ভারতীয় ক্রিকেটাররা। বিশেষ করে শুভমান গিল এগিয়ে যান ক্রলির দিকে। ক্রলির সঙ্গে তর্ক জুড়ে দেন গিল। ভারতীয় ক্রিকেটাররা ক্রলির সময় নষ্টের জন্য হাততালি দিতে থাকেন উল্টো দিক থেকে এগিয়ে এসে বেন ডাকেটও তাঁর সঙ্গী ক্রলির সমর্থনে কিছু বলেন। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি হয়ে ওঠে উত্তপ্ত।
আরও পড়ুন: 'ভারতের প্রতি কোনও সহানুভূতিই নেই', প্রবল সমালোচিত শুভমান গিলের ভারত, কিন্তু কেন?
