আজকাল ওয়েবডেস্ক: ম্যাঞ্চেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে টেস্ট ম্যাচ বাঁচাতে গিল এবং রাহুলের পাশাপাশি আবহাওয়ার দিকেও এবার তাকিয়ে থাকতে হতে পারে ভারতীয় দলকে। অধিনায়ক শুভমান গিলের নেতৃত্বাধীন দল ইতিমধ্যেই ঋষভ পন্থের পায়ের চোটে দুর্বল হয়ে পড়েছে, তাই এই অবস্থায় ম্যাঞ্চেস্টারে বড় ভূমিকা নিতে পারে বৃষ্টি। সৌভাগ্যবশত, ম্যাচের পঞ্চম দিনে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, যা ভারতের পক্ষে ইতিবাচক হতে পারে। ব্রিটেনের জাতীয় আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, সকালের প্রথম তিন ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে। যদিও দিনের বাকি সময়ে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যাবে বলে পূর্বাভাস।
তবে দ্বিতীয় সেশনের খেলায় বৃষ্টি যদিও না হয় আবহাওয়া বড় ভূমিকা নিতে পারে। মেঘলা আবহাওয়া থাকলে তেড়েফুঁড়ে আক্রমণ করবেন ইংল্যান্ড পেসাররা। সেক্ষেত্রে কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়তে হতে পারে ভারতীয় ব্যাটারদের। অন্যদিকে, প্রথম কয়েক ঘণ্টা কাটিয়ে দিতে পারলে স্বস্তি মিলবে ভারতীয় শিবিরেও। সবমিলিয়ে টানটান উত্তেজনায় ম্যাঞ্চেস্টার টেস্টের পঞ্চম সিরিজের চতুর্থ টেস্ট দারুণ এক সন্ধিক্ষণে। ম্যাচ বাঁচানোর লড়াইয়ে লোকেশ রাহুল ও শুভমান গিল। শনিবার চতুর্থ দিনের খেলার শেষে ভারতের রান ২ উইকেটে ১৭৪ রান। ক্রিজে রয়েছেন লোকেশ রাহুল ৮৭ ও গিল ৭৮।
আরও পড়ুন: এশিয়া কাপে মুখোমুখি ভারত-পাক, বোর্ডের নীতির সমালোচনায় আজহার
ইংল্যান্ডের থেকে ভারত পিছিয়ে রয়েছে এখনও ১৩৭ রানে। প্রথম ইনিংসে ভারতের ৩৫৮ রানের জবাবে ইংল্যান্ডের ইনিংস শেষ হয় ৬৬৯ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে খাতা না খুলেই ফিরে যান যশস্বী জয়সওয়াল ও সাই সুদর্শন। বুকের উপরে চেপে বসা পাথরটা ধীরে ধীরে ঠেলে সরালেন লোকেশ রাহুল ও শুভমান গিল। ১৭২ রানের পার্টনারশিপ দুই ব্যাটারের। এরপরেও কিন্তু বলা যাচ্ছে না ভারত ম্যাচ বাঁচিয়ে দেবে। কারণ খেলাটার নাম ক্রিকেট। বিশেষজ্ঞরা বলেন, মহান অনিশ্চয়তার এক খেলা।
পঞ্চম দিন এই দুই ব্যাটারের উপরে অনেক কিছু নির্ভর করছে। বলা যায়, বাঁচা-মরা সবই এই দু'জনের উপরে। রবিবার তাঁরা যতক্ষণ ক্রিজে কাটাতে পারবেন, তততই মঙ্গল ভারতের। ক্রিকেট দেবতা অবশ্য কোন চিত্রনাট্য লিখে রেখেছেন ম্যাঞ্চেস্টার টেস্টের জন্য, সেটাই দেখার। ভারতীয় বোলিংকে নিয়ে ছেলেখেলা করে ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে রানের পাহাড় গড়ে। তৃতীয় দিনের শেষে ইংল্যান্ডের রান ছিল ৭ উইকেটে ৫৪৪। চতুর্থ দিনের শুরুতে বুমরাহর বলে লিয়াম ডসন (২৬) আউট হলেও ইংল্যান্ড অধিনায়ক স্টোকস ছিলেন দুরন্ত। তাঁকে রোখে কার সাধ্যি!
স্টোকস খেললেন ১৪১ রানের ইনিংস। ব্রাইডন কার্সকে সঙ্গে নিয়ে ৯৫ রানের পার্টনারশিপ গড়েন তিনি। সেঞ্চুরি হয়ে যাওয়ার পর স্টোকস আরও গতি আনেন নিজের ব্যাটিংয়ে। ভারতীয় বোলারদের নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করলেন স্টোকস। ১৬৪ বলে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। বাকি ৪১ রান করেন ৩৪ বলে। শেষমেশ জাদেজার বলে তাঁর ক্যাচ ধরেন সাই সুদর্শন। স্টোকসের ইনিংসে সাজানো ছিল ১১টি চার ও ৩টি ছক্কা। ব্যক্তিগত ৪৭ রানে আউট হন কার্স। তিনি জাদেজার শিকার। ভারতীয় বোলিং নির্বিষ দেখায়। জাদেজা চার-চারটি উইকেট নেন। বুমরাহ ও ওয়াশিংটন সুন্দর ২টি করে উইকেট নেন।
