আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ মাত্র এক সপ্তাহ। তার মধ্যেই এশিয়া কাপে ভারতের কাছে দু’‌বার দুরমুশ হয়েছে টিম পাকিস্তান। সবমিলিয়ে পাক ক্রিকেটে গেল গেল রব। এহেন পরিস্থিতিতে পাক ক্রিকেটকে খোঁচা দিলেন সেদেশের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরান খান। ইমরান বলেছেন, পাকিস্তানের হয়ে ব্যাট হাতে ক্রিজে নামুন সেনাপ্রধান আসিম মুনির আর পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নকভি। একমাত্র সেটা হলেই ভারতকে হারাতে পারবে পাকিস্তান।


একাধিক মামলায় আপাতত জেলবন্দি রয়েছেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী। সোমবার ইমরানের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তাঁর বোন আলিমা খান। তারপরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আলিমা জানান, ‘‌ইমরান বলছে, ভারতকে হারাতে গেলে একটাই পথ রয়েছে পাকিস্তানের সামনে। সেটা হল, মুনির আর নকভি একসঙ্গে ওপেন করুক। তবে সেটুকুই যথেষ্ট নয়। পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি কাজি ফৈয়জ ইসা এবং প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার সিকন্দর সুলতান রাজাকে ওই ম্যাচের আম্পায়ার হতে হবে। ম্যাচের তৃতীয় আম্পায়ার হবেন ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সরফরাজ ডোগার।’‌ 


দিনকয়েক আগেই মুনিরের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছিলেন ইমরান। জেলে তাঁর এবং তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবির উপর মানসিক নির্যাতন করছেন পাক সেনাপ্রধান, এমনটাই দাবি করেছিলেন ইমরান। অন্যদিকে স্বজনপোষণ করে পাক ক্রিকেটকে ধ্বংস করেছেন পিসিবি প্রধান তথা পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নকভি, এমনটাও বারবার বলেছেন পাকিস্তানের একমাত্র বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। তাঁর অভিযোগ, ইসা এবং রাজার মদতে ২০২৪ সালের পাক নির্বাচনের ফলাফল বদলে দেওয়া হয়েছিল। তাই একসঙ্গে সকলকে বিঁধেছেন ইমরান খান।


প্রসঙ্গত, পাক সেনার রোষের মুখে পড়ে গদি হারাতে হয়েছিল ইমরানকে। এর পরেই তাঁর ঠাঁই হয় জেলে। দু’বছর পার হয়ে গেলেও জেলমুক্তি ঘটেনি ইমরানের। বরং একের পর এক নয়া মামলা চেপেছে তাঁর উপর। ইমরানের মুক্তি চেয়ে কিছুদিন আগেও পাকিস্তান জুড়ে ব্যাপক আন্দোলন করেছিল তাঁর দল পিটিআই। যদিও তাতে বিশেষ ফল হয়নি। নিষ্ঠুরভাবে সেই বিদ্রোহ দমন করে সরকার।