আজকাল ওয়েবডেস্ক: মাত্রা ছাড়াল হ্যান্ডশেক বিতর্ক। ভারতের বিরুদ্ধে তীব্র অভিযোগ করল পাকিস্তান।
ম্যাচের আগেই অবশ্য ঠিক ছিল, খেলা চলাকালীন ভারতীয় ক্রিকেটাররা পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের সঙ্গে হাত মেলাবেন না। সেটাই হয়েছে। ম্যাচের শেষে পাকিস্তান শিবির থেকে একগুচ্ছ অভিযোগ জানানো হয়েছে ভারতের বিরুদ্ধে। পাক শিবির থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টই পাক অধিনায়ক সলমন আলি আঘাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, সূর্যকুমার যাদবের সঙ্গে যেন হ্যান্ডশেক করা না হয়।
আরও পড়ুন: লন্ডন কাঁপাচ্ছেন বঙ্গকন্যা, টেনিস কোর্টে ১৬ বছরের তামান্নার রেকর্ড জানলে চমকে যাবেন
আবার সূর্যকেও নির্দেশ দেওয়া হয়, তিনি যেন সলমন আলি আঘার সঙ্গে করমর্দন না করেন। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের তরফ থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ''ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্ট পাকিস্তান অধিনায়ক সলমন আলি আঘাকে চসের সময়ে বলেছিলেন ভারত অধিনায়কের সঙ্গে তিনি যেন হ্যান্ডশেক না করেন। পাকিস্তান টিম ম্যানেজমেন্ট প্রতিবাদ জানায়। এহেন ব্যবহার খেলার স্পিরিটের পরিপন্থী।''
খেলার শেষে সলমন আলি আঘা পোস্ট ম্যাচ প্রেজেন্টেশন বয়কট করেন। ভারতীয় দলের ব্যবহারে তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করেন। পোস্ট ম্যাচ প্রেজেন্টেশনের উদ্যোক্তা ছিল ভারত।
এদিকে ভারতের পাকিস্তান জয়ের পরে টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব বলেন, ''পহেলগাঁও জঙ্গিহানায় নিহত পর্যটকদের পরিবারের পাশে আছি আমরা। আমরা সংহতি ব্যক্ত করছি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এই জয় ভারতীয় সেনাবাহিনীকে উৎসর্গ করছি।''
রবিবার ছিল ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবের জন্মদিন। তিনি বলেন, ''পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয় দারুণ অনুভূতি। এই জয় দেশকে আমার পক্ষ থেকে আদর্শ রিটার্ন গিফট।''
ছয় মেরে ভারতকে জয়ে পৌঁছে দেন স্কাই। ম্যাচ শেষে জানান, এটা তাঁর দীর্ঘদিনের ইচ্ছে ছিল। শেষপর্যন্ত টিকে থেকে ছয় মেরে দলকে জেতানোর দীর্ঘদিনের সখ ছিল তাঁর। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয়কে বাড়তি গুরুত্ব দিতে চান না। আর পাঁচটা ম্যাচের মতোই দেখছেন।
এদিকে ভারতের হ্যান্ডশেক বিতর্ক প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন বোলার শোয়েব আখতার। তিনি বলেছেন, ''আমি বাক্যহারা। এটা দেখে মন আমার ভারাক্রান্ত। কী বলবো বুঝতে পারছি না। ভারতকে অনেক শুভেচ্ছা। ক্রিকেট ম্যাচকে রাজনৈতিক ইস্যু করো না। আমরা ভারতের সুখ্যাতি করেছি। হ্যান্ডশেক না করা নিয়ে আমরা অনেক কথাই বলতে পারি। ঘরের ভিতরেও লড়াই হয়। ঝগড়া বিবাদ হয়। সেগুলো ভুলে এগিয়ে যেত হয়। এটা ক্রিকেট। হ্যান্ডশেক করো। শো ইওর গ্রেস।''
রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের কোচ গৌতম গম্ভীর হ্যান্ডশেক না করার বুদ্ধি দিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, ভারতীয় ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত মেলানোর জন্য দাঁড়িয়ে ছিলেন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা। কিন্তু ভারতের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান কারও অপেক্ষায় থাকেননি। তাঁরা সটান বেরিয়ে যান।
