আজকাল ওয়েবডেস্ক: পহেলগাঁও জঙ্গিহানার জেরে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ বয়কটের দাবি তুলেছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার থেকে ক্রিকেট পণ্ডিতরা। কিন্তু শেষপর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া নীতির ভিত্তিতে ভারত-পাক ম্যাচ হয়। যা নিয়ে তুমুল চর্চা চলে। এপ্রিলে পহেলগাঁও জঙ্গিহানায় নিরীহ পর্যটকদের প্রাণনাশের ঘটনার কথা ভোলেননি সূর্যকুমার যাদব। পাকিস্তান ম্যাচ জেতার পর সংহতি প্রকাশ ভারত অধিনায়কের। এদিন আরও একবার দুঃখ প্রকাশ করলেন সূর্য। এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয় উৎসর্গ করেন ভারতীয় সেনাবাহিনীকে। সূর্যকুমার যাদব বলেন, 'পহেলগাঁও জঙ্গিহানায় নিহত পর্যটকদের পরিবারের পাশে আছি আমরা। আমরা সংহতি ব্যক্ত করছি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এই জয় ভারতীয় সেনাবাহিনীকে উৎসর্গ করছি।' সংক্ষিপ্ত কথায় নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করেন সূর্য। ম্যাচ শেষে পাকিস্তানের প্লেয়ারদের সঙ্গে করমর্দন করেনি ভারতীয় ক্রিকেটাররা।
ভারত-পাক মহারণের বিরুদ্ধে ছিলেন পহেলগাঁও জঙ্গিহানায় মৃত শুভম দিবেদীর বাবা সঞ্জয় দিবেদী। হাইভোল্টেজ ম্যাচের ২৪ ঘণ্টা আগে জানিয়ে দেন, তিনি চান না এই ম্যাচ হোক। কেন্দ্রীয় সরকারকে হস্তক্ষেপ করার আর্জি জানান। জঙ্গিহানার পর পাকিস্তানের সঙ্গে সবরকম সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা জানিয়েছিল ভারত সরকার। ক্রীড়াক্ষেত্রেও সম্পর্কচ্যুত করার আশ্বাস দেওয়া হয়ে। সেটা মনে করিয়ে দেন জঙ্গিহানায় মৃতের বাবা। সর্বভারতীয় সংবাদসংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সঞ্জয় দিবেদী বলেন, '২২ এপ্রিল ২০২৫ এ আমাদের দেশের ২৬ জন নির্দোষ এবং নিরীহ পর্যটককে মেরে ফেলে পাকিস্তান। ভারত সরকার জানিয়েছিল, পাকিস্তানের সঙ্গে কোনওরকম সম্পর্ক রাখা হবে না। কেন্দ্রীয় সরকারকে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আর্জি জানাই। মানুষের আবেগের কথা মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।'
জন্মদিনের দিন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয়ে তৃপ্ত সূর্যকুমার। ম্যাচ শেষে ভারত অধিনায়ককে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানায় সমর্থকরা। তাতে অভিভূত ব্যর্থ ডে বয়। সূর্য বলেন, 'পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয় দারুণ অনুভূতি। এই জয় দেশকে আমার পক্ষ থেকে আদর্শ রিটার্ন গিফট।' ছয় মেরে ভারতকে জয়ে পৌঁছে দেন স্কাই। ম্যাচ শেষে জানান, এটা তাঁর দীর্ঘদিনের ইচ্ছে ছিল। শেষপর্যন্ত টিকে থেকে ছয় মেরে দলকে জেতানোর দীর্ঘদিনের সখ ছিল তাঁর। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয়কে বাড়তি গুরুত্ব দিতে চান না। আর পাঁচটা ম্যাচের মতোই দেখছেন। সূর্য বলেন, 'পাকিস্তান ম্যাচ আরও একটা ম্যাচের মতো। আমরা অন্য প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নামার আগে যেমন প্রস্তুতি নিই, পাকিস্তানের বিরুদ্ধেও একই প্রস্তুতি নিই।' দুবাইয়ে দুটো ম্যাচেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় স্পিনাররা। কুলদীপদের ভূয়সী প্রশংসা করেন ভারতের নেতা। জানান, স্পিনারদের দাপট চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকেই শুরু হয়েছে। সূর্য বলেন, 'ভারতের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ে স্পিনারদের বড় ভূমিকা ছিল। সেখান থেকেই শুরু হয়েছে। আমি স্পিনারদের খেলাতে পছন্দ করি।' ১৯ সেপ্টেম্বর ওমানের বিরুদ্ধে গ্রুপের শেষ ম্যাচ খেলবে ভারত।
