আজকাল ওয়েবডেস্ক: শ্রীরামপুর সাব ডিভিশনাল স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে গত ছ' মাস ধরে প্রথম ও সুপার ডিভিশন মিলিয়ে প্রায় ২০০ ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার ছিল প্রথম ও সুপার ডিভিশনের ফাইনাল। সেই ফাইনালকে কেন্দ্র করে শ্রীরামপুরে বসেছিল চাঁদের হাট। 

কে ছিলেন না সেখানে? প্রাক্তন ফুটবলার সমীর চৌধুরী, শিশির ঘোষ, উত্তম মুখার্জি, সুদীপ চক্রবর্তী ও শিবদাস বাড়ুই উপস্থিত ছিলেন গ্র্যান্ড ফাইনালে। 

সুপার ডিভিশনের ফাইনালে ভদ্রেশ্বরের ইউএসি ক্লাব ১-০ গোলে হারায় জগন্নাথ স্পোর্টিংকে। চ্যাম্পিয়ন দল পায় ৪০ হাজার টাকা। রানার্স দলের হাতে তুলে দেওয়া হয় ৩০ হাজার টাকা। প্রথম ডিভিশনের ফাইনালে ইউএফএ উত্তরপাড়া হারায় ভদ্রেশ্বরের সবুজ পরিষদকে। 

আরও পড়ুন: অ্যাশেজের আগেই বড় ধাক্কা অস্ট্রেলিয়া শিবিরে, কী হল স্মিথদের সাজঘরে? ...

তিন প্রধানের জার্সিতে একসময়ে ঘাম ঝরিয়েছেন সমীর চৌধুরী। জাতীয় দলের হয়েও খেলেছেন। জাতীয় দলে তিনি ডাক পেয়েছেন সেই খবর পেয়েছিলেন কৃশানু দে-র থেকে। ছিয়াশি সালের লিগে রেলওয়ে এফসি-র বিরুদ্ধে পেনাল্টি থেকে গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন সমীর চৌধুরী। তার পরে সমর্থকদের কাঁধে-পিঠে চেপে তিনি টেন্টে পৌঁছেছিলেন। 

শিশির ঘোষ ছিলেন ময়দানের স্টাইল স্টেটমেন্ট। মোহনবাগান আর শিশির ঘোষ হয়ে উঠেছিলেন সমার্থক। ন' নম্বর সবুজ-মেরুন জার্সি এখনও নস্ট্যালজিক করে তোলে কলকাতার ফুটবলপাগলদের। এহেন শিশির ঘোষ ইস্টবেঙ্গলে সই করার পরে খবরের কাগজে শিরোনাম হয়েছিল, ইস্টবেঙ্গলের ঘাসে শিশির। তাঁর মাথার ছোবলে বহুবার প্রতিপক্ষ ঘায়েল হয়েছে। 

বাঙালির বড় আপন, বড় আবেগের যুবভারতীতে প্রথমবার ডার্বি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৮৪ সালে। তার তিন বছর পরে ফ্লাডলাইটের উদ্বোধনে ইস্ট-মোহনের সাক্ষাৎ হয়েছিল। উত্তম মুখার্জির গোলে সেই ম্যাচ জিতেছিল মোহনবাগান। 

সবুজ-মেরুন জার্সিতে রাইট উইংয়ে খেলতেন সুদীপ চক্রবর্তী। জাতীয় দলের হয়েও খেলেছেন তিনি। ফুটবলের পাশাপাশি গানেও দক্ষতা রয়েছে তাঁর। মহমেডান স্পোর্টিংয়ের প্রাক্তন ফুটবলার শিবদাস বাড়ুইয়ের উপস্থিতি অনুষ্ঠানকে উজ্জ্বল করে। 

ছিলেন অন্যান্য ব্য়ক্তিত্বরাও। শ্রীরামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান গিরিধারী সাহা, বৈদ্যবাটি পুরসভার চেয়ারম্যান পিন্টু মাহাতো উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন চাঁপদানির বিধায়ক অরিন্দম গুইঁ এবং প্রাক্তন বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল।

শ্রীরামপুর সাব ডিভিশনাল স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সচিব সন্তোষ কুমার সিং (পাপ্পু) বলেন, ''গত ছ' মাস ধরে আমাদের কর্মকাণ্ড চলে। প্রথম ডিভিশন ও সুপার ডিভিশন মিলিয়ে প্রায় দুশোটা ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার ছিল ফাইনাল। ফুটবল এবং খেলাধুলোর উন্নতিতে আমরা সব সময়ে নিয়োজিত। আমার ছেলে পুল কার দুর্ঘটনায় মারা যায়। ও জীবিত থাকলে লেখাপড়া-খেলাধুলো-বাবদ খরচ তো হতই।  সেই অর্থ আমি জেলার খেলাধুলোর উন্নতির জন্য দিয়ে থাকি।'' 

আরও পড়ুন:  ১৪১ বলে দ্বিশতরান, নতুন দলের হয়ে রঞ্জিতে ইতিহাস ব্রাত্য তারকার