আজকাল ওয়েবডেস্ক: ছেলেদের ক্রিকেট হোক কী মেয়েদের, দলটার নাম অস্ট্রেলিয়া। সেটা আরও একবার প্রমাণিত হল। চাপের মুখ থেকে কীভাবে ম্যাচ বের করে আনতে হয়, অজিদের থেকে শেখা উচিত। সেই জন্যই তাঁরা মেয়েদের টি-২০ বিশ্বকাপে ছ'বারের চ্যাম্পিয়ন। আপ্রাণ লড়াই সত্ত্বেও হারতে হয়েছে হরমনপ্রীতদের। দুই দলের মধ্যে অভিজ্ঞতা পার্থক্য গড়ে দিয়েছে, দাবি ভারত অধিনায়কের। হরমনপ্রীত বলেন, 'ওদের এমন ব্যাটার আছে যারা পাওয়ার প্লেকে টার্গেট করে খেলতে পারে। ওদের স্থায়ী কিছু নেই। পিচ এবং পরিস্থিতি অনুযায়ী ওরা পরিকল্পনা করে খেলতে পারে। আমরাও প্ল্যান করেছিলাম। আমরাও ২০ বছর ধরে ক্রিকেট খেলছি। কিন্তু ওরা আমাদের সহজে রান করতে দেয়নি। এটাই পার্থক্য গড়ে দিল। ওদের প্রচুর অভিজ্ঞতা রয়েছে। ওরা একসঙ্গে এতগুলো বিশ্বকাপ খেলেছে। সেই কারণেই ওদের দলটা দারুণ।' 

দীপ্তির সঙ্গে ব্যাট করার সময় কয়েকটা লুজ বল বাউন্ডারিতে পাঠাতে পারেননি তাঁরা। ম্যাচ শেষে ভারত অধিনায়কের গলায় আফশোস ঝড়ে পড়ল। হরমনপ্রীত বলেন, 'আমরা জানতাম টুর্নামেন্ট কঠিন হবে। আমি এবং দীপ্তি যখন ব্যাট করছিলাম, কয়েকটা লুজ বল আমরা কাজে লাগাতে পারিনি। আমরা তখন আরও কয়েকটা বাউন্ডারি মারতে পারতাম। আমরা ম্যাচে ছিলাম। তবে ওরা অভিজ্ঞ দল। এই জায়গা থেকে কীভাবে ম্যাচ জিততে হয় ওরা জানে। আমাদের ওদের থেকে শিখতে হবে।' শেষ চারে যাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ হলেও একেবারে নেই বলা যাবে না। তবে হরমনপ্রীতদের হাতে আর নেই। এবার ভাগ্য ঝুলে থাকবে নিউজিল্যান্ড-পাকিস্তান ম্যাচের ওপর। চিরশত্রুদের ওপর নির্ভর করছে ভারতের শেষ চারের যোগ্যতাঅর্জন। এই প্রসঙ্গে হরমনপ্রীত বলেন, 'আমাদের হাতে যা ছিল, আমরা সেটা করার চেষ্টা করেছি। তবে আর আমাদের কন্ট্রোলে নেই। আমরা যদি আরও একটা ম্যাচ খেলার সুযোগ পাই, খুবই ভাল হবে। সেই সুযোগ না এলে, যে দলের শেষ চারে যাওয়া প্রাপ্য, তাঁরাই যাবে।' পরিস্থিতি যা তাতে ভারতের সেমিফাইনালে খেলার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। হরমনপ্রীতরাও সেটা বুঝে গিয়েছেন।