ইস্টবেঙ্গল-১ হায়দরাবাদ-১ 
(জিকসন) (মনোজ)
আজকাল ওয়েবডেস্ক: জয়ের হ্যাটট্রিক হল না ইস্টবেঙ্গলের। গোল করে এগিয়ে গেলেও, গোল ধরে রাখতে না পারায় এক পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল অস্কার ব্রুজোঁর দলকে। অথচ এদিন তিন পয়েন্ট ঘরে তুলতেই পারত লাল-হলুদ ব্রিগেড। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তনীর গোলেই জয় হাতছাড়া হল লেসলি ক্লডিয়াস সরণীর ক্লাবের।

বছরের শেষে এসে ইস্টবেঙ্গল সেই এগারো নম্বরেই। নতুন বছরে কাজটা আরও কঠিন লাল-হলুদ ব্রিগেডের। এদিন জিতলে ন'নম্বরে উঠে আসার সুযোগ ছিল অস্কারের ছেলেদের সামনে। 


শনিবার হায়দরাবাদের মাঠে বিবর্ণ ফুটবল খেলল লাল-হলুদ। প্রথমার্ধে একটি শট নেই প্রতিপক্ষের গোলে। দ্বিতীয়ার্ধে ক্লেটন সিলভার  ফ্রি কিক হায়দরাবাদের বারে প্রতিহত হলে ফিরতি বলে হেড করে গোল করেন জিকসন। খেলার বয়স তখন ৬৪ মিনিট। কিন্তু খেলার একেবারে শেষ লগ্নে মনোজ মহম্মদ সমতা ফেরান ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে। এই মনোজ ইস্টবেঙ্গল জার্সি পরে খেলেছিলেন আগে। সেই তিনিই গোল করে এদিন ইস্টবেঙ্গলকে জয়ের হ্যাটট্রিক করতে দিলেন না। 

তবে প্রায় প্রতি ম্যাচেই নিয়ম করে রেফারির ভুল সিদ্ধান্তের খেসারত দিতে হচ্ছে লাল-হলুদ শিবিরকে। প্রথমার্ধে হায়দরাবাদ গোলকিপার অর্শদীপ সিং যেভাবে ক্লেটনের পেটে আঘাত করলেন, তাতে লাল কার্ড ও পেনাল্টি দুটোই হতে পারত। কিন্তু রেফারি কিছুই দিলেন না। ক্লেটন জার্সি তুলে দেখাচ্ছিলেন বুটের স্টাডের আঘাতে আহত তিনি। বিপজ্জনক ফাউল নিঃসন্দেহে। কিন্তু রেফারির নজর এড়িয়ে গেল। 

সব মিলিয়ে দিনটা ইস্টবেঙ্গলের নয়। আগের দু'ম্যাচে জেতার পরে তৃতীয় ম্যাচে সেই খিদেটাই উধাও। দায়সারা ফুটবল খেললেন জিকসন, সৌভিকরা। সমর্থকদের উদ্বেগে রেখেই বছর শেষ করল লাল-হলুদ।