আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ ম্যাঞ্চেস্টার টেস্ট চলাকালীন লেগে গেল ভারত ও ইংল্যান্ডের দুই প্রাক্তন ক্রিকেটারের। 


এটা ঘটনা লর্ডস টেস্টে ইংল্যান্ডের সময় নষ্ট নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। ম্যাঞ্চেস্টারে খেলতে নামার আগে সব বিরোধ দূর করে দিয়েছিলেন শুভমন গিল। কিন্তু সেই বিতর্ককে খুঁচিয়েই চলেছেন ইংরেজরা। ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক নাসের হুসেন ম্যাঞ্চেস্টার টেস্টের প্রথম দিনই সেই বিতর্ক উস্কে দিলেন। তার পাল্টা দিলেন ভারতের দীনেশ কার্তিক।


ম্যাঞ্চেস্টারে প্রথম দিনের খেলার শেষ দিকে আলো কমে আসায় আম্পায়ারের কাছে অভিযোগ করেছিলেন রবীন্দ্র জাদেজা। তা পছন্দ হয়নি নাসেরের। তাঁর কথায়, ‘‌সাংবাদিক বৈঠকে শুভমনের কথা শুনে এখন হাসি পাচ্ছে আমার। ইংল্যান্ড নাকি সময় নষ্ট করে ক্রিকেটীয় সংস্কৃতির বিরুদ্ধাচরণ করেছে। মানছি ইংল্যান্ড দেরি করেছে। তৃতীয় দিনে ওই একটা ওভারই হওয়ার ছিল। সব দলই এই কাজ করে। আজ ভারত সেটাই করেছে। এই আলোয় জফ্রা আর্চারকে কে দু’ওভার খেলতে চাইবে?’‌ এরপরই নাসেরের ‘‌ভুল’‌ শুধরে দেন দীনেশ কার্তিক। বলেই দেন, ‘‌দুটো জিনিসে পার্থক্য রয়েছে। আমার মনে হয় ভারতের আপত্তি ছিল ৯০ সেকেন্ড দেরি করে ব্যাট করতে নামা নিয়ে। ইংল্যান্ড তো মাঠে নামতেই চাইছিল না। শুভমন ঠিক সেটাই বলেছে। ওভারের মাঝে কী হয়েছে সেটা নিয়ে ওর মাথাব্যথা ছিল না।’‌ এরপরই কার্তিক জুড়ে দেন, ‘‌অধিনায়ক হিসাবে শুভমনকে আমার বেশ লাগছে। মাঠে উন্নতি করছে। তবে মাঠের বাইরে ওর আচরণ দেখে সবচেয়ে বেশি খুশি হয়েছি। একটু আগ্রাসী তো হতেই হবে। অধিনায়ক হিসাবে নিজের পরিচিতি তৈরি করার চেষ্টা করছে ও। লর্ডসে দেখিয়ে দিয়েছে যে ওর মধ্যে কতটা আগ্রাসন রয়েছে।’‌ 


এটা ঘটনা লর্ডসে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার জন্য ইংরেজদের দুষেছিলেন শুভমন। টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়কের অভিযোগ ছিল, ইংল্যান্ড ক্রিকেটীয় মানসিকতা দেখায়নি। শুভমন বলেছিলেন, ‘একটা বিষয় পরিষ্কার করে দিতে চাই। সে দিন খেলার ৭ মিনিট বাকি ছিল। প্রথমে ইংল্যান্ডের ব্যাটারেরা মাঠে নামতেই ৯০ সেকেন্ড নষ্ট করল। ১০ বা ২০ সেকেন্ড নয়, ৯০ সেকেন্ড দেরি! হ্যাঁ অনেক দলই এমন করে। ও রকম পরিস্থিতিতে থাকলে হয়তো আমরাও যতটা সম্ভব কম ওভার খেলার চেষ্টা করতাম। কিন্তু সেটার একটা ধরন হয়। ব্যাট করতে নামতেই ৯০ সেকেন্ড দেরি কখনও ক্রিকেটীয় মানসিকতা হতে পারে না।’

 

আরও পড়ুন:‌ ম্যাঞ্চেস্টার টেস্টের দ্বিতীয় দিন ব্যাঘাত ঘটাবে বৃষ্টি?‌ জানুন আকুওয়েদারের রিপোর্ট কী বলছে...


খানিকটা কটাক্ষের সুরেই তিনি বলেছিলেন, ‘শরীরে বল লাগলে ফিজিওকে মাঠে ডাকার একটা মানে হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রেও ঠিক মানসিকতা দেখতে পাইনি আমরা।’ লর্ডস টেস্টে তৃতীয় দিনের শেষ দিকে জ্যাক ক্রলির আঙুলের চোট পাওয়ার অভিনয়ের কথাও মনে করিয়ে দিতে ভোলেননি শুভমন।

এদিকে, ম্যাঞ্চেস্টার টেস্টে প্রথম দিনের শেষে ভারত তুলেছে ২৬৪/‌৪। ক্রিজে রয়েছেন রবীন্দ্র জাদেজা (১৯) ও শার্দূল ঠাকুর (১৯)। 

ভারতের দুই ওপেনার যশস্বী জয়েসওয়াল ও লোকেশ রাহুল ভারতকে শক্ত ভিতের উপরে দাঁড় করিয়ে দেওয়ার কাজটা করেন। দলীয় রান যখন ৯৪, তখন লোকেশ রাহুল ফেরেন ব্যক্তিগত ৪৬ রানে। যশস্বী অর্ধশতরান করে ফেরেন ৫৮ রানে। সাই সুদর্শন ভাল খেলছিলেন। কিন্তু ৬১ করার পর স্টোকসের বল লেগ সাইডে বাউন্ডারির বাইরে পাঠাতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন। বলা ভাল উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে আসা। অধিনায়ক গিল (‌১২)‌ রান পাননি। ইংরেজ বোলারদের মধ্যে স্টোকস পেয়েছেন দুই উইকেট।