আজকাল ওয়েবডেস্ক: শিল্ড ফাইনালের টাইব্রেকারে প্রভসুখান গিলকে বসিয়ে দেবজিৎ মজুমদারকে গোল আগলানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের সেই সিদ্ধান্ত ব্যুমেরাং হয়ে ফেরে। দেবজিৎ একটি শটও বাঁচাতে পারেননি। মোহনবাগান পাঁচটি শটেই গোল করে। ইস্টবেঙ্গলের হারের পরে স্বাভাবিক ভাবেই এহেন সিদ্ধান্ত নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। আজ কালীপুজোর দিনে সন্দীপ নন্দী লাল-হলুদের গোলকিপার কোচের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। কোচ অস্কার ব্রুজোঁর সঙ্গে তাঁর মনোমালিন্যের জেরেই সরে গিয়েছেন ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন গোলকিপার।
আরও পড়ুন: ‘মহামেডান ছাগলের তৃতীয় সন্তান’, বিস্ফোরক মন্তব্য নওশাদের, ‘সস্তায় প্রচারের চেষ্টা’, পাল্টা দীপেন্দুর
সেই সন্দীপেরই অভিযোগ শিল্ড ফাইনালের দিন কোচ অস্কার নাকি পেনাল্টি শুট আউটের আগে দেবজিৎ মজুমদারকে চাপে ফেলে দিয়েছিলেন। সেদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে সন্দীপ বলেন, ''আমি কোচকে বলেছিলাম, আগে দেবজিৎ টাইব্রেকার বাঁচিয়ে এটিকে-কে চ্যাম্পিয়ন করেছিল। আমি সেদিক দিয়েই ভাবছি।''
প্রভসুখান গিল আবার ফাইনালে ভালই পারফরম্যান্স তুলে ধরেন। শুরুতেই তিনি ম্যাকলারেনের শট বাঁচান। কামিন্সের সঙ্গে মানসিক লড়াইয়ে জেতেন লাল-হলুদের গোলকিপার। কামিন্স পেনাল্টি বাইরে মারেন। তাছাড়া ১২০ মিনিটের লড়াইয়ের একেবারে শেষ মুহূর্তে ফিস্ট করে দলকে বাঁচান প্রভসুখান। রেফারির শেষ বাঁশির পরে গিলকে জানানো হয় তাঁর পরিবর্তে দেবজিৎকে গোল আগলানোর দায়িত্ব দেওয়া হবে। স্বাভাবিক ভাবেই গিল অসন্তুষ্ট হন।
এদিকে দেবজিৎকে মাঠে পাঠানোর পিছনে সন্দীপের ব্যাখ্যা জানতে পেরে অস্কার কী করেন? দেশের প্রাক্তন গোলকিপার বলেন, ''আমার কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে অস্কার দেবজিৎকে ডাকে। সবার সামনে ওকে জিজ্ঞাসা করে, দেবজিৎ তুমি সবার সামনে বলো, ইস্টবেঙ্গলকে জেতাতে পারবে?''
সন্দীপের বক্তব্য, অস্কারের এহেন বক্তব্য শুনে দেবজিৎ চাপে পড়ে যান। তিনি সন্দীপকে বলেছিলেন, ''এতে তো আমি চাপে পড়ে গেলাম সন্দীপদা।''
সেই যাত্রায় কোনওরকমে দেবজিৎকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে মাঠে পাঠান সন্দীপ। অস্কার সেই ঘটনার উল্লেখ করেই এদিন সন্দীপের কাছে জানতে চান, তাঁর এহেন সিদ্ধান্তের পিছনে অন্য কারও মদত রয়েছে কিনা। এ নিয়েই শুরু হয় তর্কবিতর্ক। ক্রমে তা পৌঁছয় সপ্তমে। তার পরিণতি গোয়ায় পা দিয়েই কলকাতা অভিমুখে রওনা হন সন্দীপ। সন্দীপের কথায় এরকম অসম্মানিত তিনি আগে কখনও হননি। তাঁর যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অস্কার। তাঁকে সর্বসমক্ষে অসম্মান করেছেন স্প্যানিশ কোচ। সেই অসম্মান-অপমান সয়ে ইস্টবেঙ্গলে কাজ করা সম্ভব নয় তাঁর পক্ষে। সেই কারণে তিনি ইস্টবেঙ্গল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন।
আরও পড়ুন: 'ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে রাখতেন কোচ, আরও খারাপ দিন আসছে ইস্টবেঙ্গলের', পদত্যাগ করে বিস্ফোরক সন্দীপ ...
