আজকাল ওয়েবডেস্ক: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৬-এর দল ঘোষিত হয়েছে। সেই দলে সুযোগ পাননি শুভমান গিল। তিনি আবার টেস্ট ও ওয়ানডে দলের অধিনায়ক। টি-টোয়েন্টির সহ-অধিনায়ক করা হয়েছিল গিলকে।

সেই গিলকেই বিশ্বকাপের দলে নেওয়া হল না। ঈশান কিষানের অন্তর্ভুক্তি নিয়েও চর্চা হচ্ছে দেশ জুড়ে। প্রায় ২ বছর জাতীয় দলে ছিলেন না ঈশান কিষান। সেই ঈশান কিষান বিশ্বকাপের দলে ডাক পেলেন ঘরোয়া টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করার পরে। 

সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির ফাইনালে ১০১ রান করেন। গোটা টুর্নামেন্টে ৫৭১ রানের মালিক তিনি। সেই টুর্নামেন্টের  পারফরম্যান্সের প্রেক্ষিতেই  জাতীয় দলের দরজা খুলে যায় ঈশান কিষানের সামনে। 

দল নির্বাচনের পরে নির্বাচকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান অজিত আগরকর বলেছেন, ''সাদা বলের ক্রিকেটে উপরের দিকে ব্যাট করে ঈশান কিষান। দুর্দান্ত ফর্মেও রয়েছে ও। জাতীয় দলের হয়ে আগে খেলেছে ঈশান কিষান। ধ্রুব জুড়েল ও ঋষভ পন্থ থাকার জন্য জাতীয় দলে ডাক পায়নি ঈশান কিষান। আমাদের মনে হয়েছে একজন উইকেট কিপার টপ অর্ডারে থাকলে আমাদের দল আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে।'' 


২৭ বছর বয়সী ঈশান কিষান হরিয়ানার বিরুদ্ধে ৪৯ বলে ১০১ রানের ইনিংস খেলেন। ১০টি ছক্কা ও ছ'টি চারে সাজানো ছিল তাঁর ইনিংস। 

মুস্তাক আলি ট্রফিতে ১০টি ইনিংসে ৫১৭ রান করেন ঈশান কিষান। গুয়াহাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে  শেষবার খেলেছিলেন ঈশান কিষান। পাঁচ বল খেলে খাতা না খুলে ফিরে যান প্যাভিলিয়নে। 

ভারতীয় ক্রিকেটের অবাধ্য ছেলে বলে পরিচিত ছিলেন ঈশান কিষান। সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফিরে এসেছিলেন ঈশান কিষান। বোর্ড কর্তাদের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছিন্ন করেছিলেন। এমনকী রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার কর্তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখেননি। খবর ছড়িয়ে যায়, তিনি নাকি মানসিক অবসাদে রয়েছেন। একসময়ে রটে গিয়েছিল ঈশান কিষানের কেরিয়ার শেষ হয়ে গিয়েছে। সেই ঈশান কিষান আবার জাতীয় দলে ফিরে এসেছেন।