আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় বড় ধাক্কা খেলেন মহম্মদ সামি। প্রাক্তন স্ত্রী হাসিন জাহান এবং মেয়ে আইরার ভরণপোষণের জন্য প্রতি মাসে চার লক্ষ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। কোর্টের রায় অনুযায়ী, হাসিনকে প্রতি মাসে দেড় লক্ষ টাকা দিতে হবে। মেয়েকে দিতে হবে আড়াই লক্ষ টাকা। গত সাত বছরের টাকাও দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। ছয় মাসের মধ্যে এই মামলার শুনানির নির্দেশ দিয়েছিল লোয়ার কোর্ট। গার্হস্থ্য হিংসা এবং মহিলা নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়। যতক্ষণ না মামলার নিষ্পত্তি হচ্ছে, সামিকে খোরপোশ দিতে হবে। আলাদতের এই সিদ্ধান্ত সামির জন্য বড় সেটব্যাক।
গতবছর কলকাতার একটি শপিং মলে মেয়ের সঙ্গে দেখা করেন সামি। দীর্ঘদিন পরে দু'জনের দেখা হয়। একসঙ্গে শপিং করতে দেখা যায়। ইনস্টাগ্রামে সেটা পোস্ট করে সামি লেখেন, 'দীর্ঘদিন পর আবার আমি যখন ওকে দেখলাম, সময় থমকে গিয়েছিল। তোমাকে ভালবাসি বেবো, যা কথায় ব্যাখ্যা করতে পারব না।' মাত্র এক ঘণ্টায় ১.৬০ লক্ষ লাইক পায় এই পোস্ট। অবশ্য এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রাক্তন স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন হাসিন। দাবি করেন, তাঁর মেয়ের পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে সামির সই লাগবে। কিন্তু তিনি সই করেনি। এছাড়াও জানান, সামি যে সংস্থার হয়ে বিজ্ঞাপন করে, মেয়েকে সেই দোকানেই নিয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে কেনাকাটি করলে, তাঁকে পয়সা দিতে হয় না। এছাড়াও জানান, তাঁর মেয়ে গিটার এবং ক্যামেরা চেয়েছিল। যা সামি তাঁকে কিনে দেয়নি। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে মডেল অভিনেত্রী হাসিন জাহানের সঙ্গে বিয়ে হয় সামির। এক বছর পর তাঁদের কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু দাম্পত্য সুখের হয়নি। ২০১৮ সালে যাদবপুর থানায় সামি এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ জানান হাসিন। বিবাহবিচ্ছেদ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন।
