আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ এশিয়া কাপ আদৌ হবে?‌ চরম ডামাডোল অব্যাহত এশিয়া কাপ নিয়ে। এই বছরের সেপ্টেম্বরে ভারত ও শ্রীলঙ্কায় যৌথভাবে হওয়ার কথা এশিয়া কাপের। তবে পহেলগাঁও হামলার পর ভারত–পাকিস্তান ক্রিকেটীয় সম্পর্ক কোনদিকে যাবে তা অজানা। পাকিস্তান সম্ভবত শ্রীলঙ্কাতেই খেলতে চাইবে। এই পরিস্থিতিতে বিসিসিআইয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা ছিল মহসিন নকভি চালিত এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের। কিন্তু ঢাকার সেই বৈঠকে যেতে রাজি নয় ভারতীয় বোর্ডের কর্তারা।


২৪ জুলাই ঢাকায় মুখোমুখি বৈঠক হওয়ার কথা ছিল এশিয়া কাপে অংশগ্রহণকারী সবকটি দেশের বোর্ডের। কিন্তু একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ওই বৈঠকে যাচ্ছে না বিসিসিআই। ইতিমধ্যেই নাকি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যদি ঢাকায় এই বৈঠক হয়, তাহলে ভারতীয় বোর্ড যাবে না। ভারত–বাংলাদেশের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্কের অবনতিই এক্ষেত্রে মূল কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে।


জানা যাচ্ছে শুধু ভারত নয়, শ্রীলঙ্কা, ওমান, আফগানিস্তানের মতো দেশগুলির বোর্ডও এই বৈঠক ‘বয়কটে’র পথে। সকলের আপত্তি ঢাকা নিয়ে। যদিও অন্য দেশগুলির আপত্তিতেও নিজের সিদ্ধান্তে অনড় পিসিবি ও এসিসি’র প্রধান মহসিন নকভি। ওই সংবাদমাধ্যম সূত্রে বলা হয়েছে, ‘‌বিসিসিআই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে বৈঠকের জায়গা বদলানোর কথা বলেছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও উত্তর আসেনি।’‌ 

 

আরও পড়ুন:‌ একের পর কীর্তি, ভয় ধরাচ্ছেন প্রতিপক্ষের হৃদয়ে!‌ চিনে নিন তরুণ এই ইংরেজ স্পিনারকে 


এদিকে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সংবিধান অনুযায়ী যদি অন্য দেশগুলি অংশগ্রহণ না করে, তাহলে ঢাকার বৈঠকের সিদ্ধান্তের কোনও গুরুত্ব থাকবে না। যে কারণে নকভির দুশ্চিন্তা আরও বাড়তে পারে। সেই সঙ্গে এশিয়া কাপ হওয়া নিয়েও অস্বস্তি বজায় রইল। অন্যদিকে নকভির আশা ছিল, যদি বিসিসিআইকে ঢাকায় আসতে রাজি করানো যায়, তাহলে সেটা একদিক থেকে তাঁর জয়ই হবে। ভারতের তরফ থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ার আগেই সূচি তৈরি করে রাখা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে এশিয়া কাপ শুরু হবে ৫ সেপ্টেম্বর। ফাইনাল ২১ সেপ্টেম্বর। আর ভারত–পাকিস্তান মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা ৭ সেপ্টেম্বর। যদিও গ্রুপ বিন্যাস কী হবে, তা এখনও চূড়ান্ত নয়।


এটা ঘটনা ভারত এখন আর পাকিস্তান যেতে রাজি নয়। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাকিস্তানে হলেও ভারত হাইব্রিড মডেলে খেলেছিল দুবাইয়ে। পাকিস্তানকে ভারত ম্যাচ খেলতে যেতে হয়েছিল দুবাইয়ে। তারপর ঘটে গেছে পহেলগাঁও হামলা। দু’‌দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও অশান্ত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এশিয়া কাপ আয়োজন করাই বড় চ্যালেঞ্জ এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের। তবে টুর্নামেন্ট হলে তা হবে টি২০ ফর্ম্যাটে। কারণ আগামী বছর টি২০ বিশ্বকাপ। সেই টুর্নামেন্টের কথা মাথায় রেখেই টি২০ আকারে হবে এশিয়া কাপ। 

যদিও এখন অবশ্য পরিস্থিতি ভিন্ন। গত কয়েক বছরের পরিসংখ্যান ঘাঁটলে দেখা যায়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভারত হারিয়ে দিয়েছে পাকিস্তানকে। এখন দুই দেশ শুধু আইসিসি টুর্নামেন্টেই মুখোমুখি হয়। তা সে বিশ্বকাপ, টি২০ বিশ্বকাপ আর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হোক। সব জায়গাতেই টিম ইন্ডিয়ার জয়জয়কার। যা শুরু হয়েছিল মহেন্দ্র সিং ধোনি জমানা থেকে।
‌