আজকাল ওয়েবডেস্ক: শ্রেয়সের জন্য জুন মাসটা হার্টব্রেকের। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর কাছে হারের দশদিনের মধ্যে ফাইনালে আরও একটি ব্যর্থতা। এবার টি-২০ মুম্বই লিগে। সোবো মুম্বই ফালকন্সকে নেতৃত্ব দেন শ্রেয়স। দলকে স্থানীয় টি-২০ লিগের ফাইনালেও তোলেন। মনে হয়েছিল এবার হয়ত চ্যাম্পিয়ন হবেন। কিন্তু ভাগ্য লিখন আলাদা ছিল। এবারও তীরে গিয়ে তরী ডুবল। শুক্রবার ফাইনালে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মুম্বই সাউথ সেন্ট্রাল মারাঠা রয়্যালসের কাছে হেরে যায় শ্রেয়সের দল। ব্যাট হাতে এদিন রান পাননি দলনেতা। আইপিএল ফাইনালে ব্যর্থতার পর আরও একটি ফাইনালে ব্যর্থ।
জুনে দুটো ফাইনাল হারলেও, অধিনায়ক হিসেবে ঈর্ষণীয় রেকর্ড শ্রেয়সের। মুম্বইয়ের রঞ্জি ট্রফি দলের সদস্য ছিলেন তিনি। ইরানি কাপ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন। কলকাতা নাইট রাইডার্সকে চ্যাম্পিয়ন করেন। সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে মুম্বইকে চ্যাম্পিয়ন করেন। ভারতের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দলের সদস্য ছিলেন। ম্যাচের পর আবেগতাড়িত শ্রেয়স বলেন, 'কোনও নির্দিষ্ট ঘটনা তুলে ধরতে চাই না। ছেলেরা আপ্রাণ চেষ্টা করেছে। ফাইনাল পর্যন্ত আমরা শুধু একটা ম্যাচ হেরেছিলাম। এবার আরও একটা খারাপ ম্যাচ। যার জন্য কাউকে দায়ী করা যায় না। তবে এটা পেছন থেকে ছুরি মারা। যা আমি একেবারেই পছন্দ করি না।' পরপর দুটো ফাইনাল হেরে হতাশ। শ্রেয়স বলেন, 'ফাইনালে হারার পর খারাপ লাগা বাধ্য। সবারই খারাপ লেগেছে। তবে পরের বছর নামার আগে বাড়তি মোটিভেশন এবং আত্মবিশ্বাস থাকবে।' গত এক বছরে নেতা হিসেবে শ্রেয়সের চতুর্থ ফাইনাল। ২০২৪ মে-তে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে আইপিএলের ফাইনালে তোলেন। তারপর তাঁর নেতৃত্বে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি জেতে মুম্বই। আইপিএল ফাইনালে ওঠে পাঞ্জাব কিংস। এবার স্থানীয় লিগে তাঁর নেতৃত্বে ফাইনালে উঠেছিল সোবো মুম্বই ফ্যালকন্স।
