আজকাল ওয়েবডেস্ক: এশিয়া কাপ ফাইনালের আগে মাঠে এবং মাঠের বাইরে তুমুল ট্রোলিংয়ের মুখে পড়তে হচ্ছে পাকিস্তান দলকে। এবার বলিউড অভিনেতা অভিষেক বচ্চন রীতিমতো রসিক ভঙ্গিতে কটাক্ষ করলেন পাকিস্তান ক্রিকেট দলকে! ঘটনাটা আসলে কী ঘটেছিল? প্রাক্তন পাকিস্তান পেসার শোয়েব আখতার এক লাইভ টেলিভিশন শো-তে বড়সড় ভুল করে বসেন। ভারতের তরুণ ওপেনার অভিষেক শর্মার নামের জায়গায় মুখ ফসকে তিনি বলে ফেলেন 'অভিষেক বচ্চন।'
ঘটনাটি ঘটেছে ক্রিকেট বিশ্লেষণমূলক অনুষ্ঠান ‘গেম অন হ্যায়’-তে। পাকিস্তানের এশিয়া কাপ ফাইনালে যাওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা চলছিল। ঠিক তখনই শোয়েব বলেন, 'যদি পাকিস্তান অভিষেক বচ্চনকে তাড়াতাড়ি আউট করতে পারে, তাহলে কী হবে তাদের মিডল অর্ডারের?' এ কথা শুনেই হাসির রোল ওঠে স্টুডিওতে। উপস্থিত সঞ্চালক ও অতিথিরা সঙ্গে সঙ্গে তাকে সংশোধন করেন 'বচ্চন নন, অভিষেক শর্মা!' কিন্তু ততক্ষণে ক্লিপটি ভাইরাল হয়ে গেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
নেটিজেনদের মধ্যেও শুরু হয় রসিকতা। এরপরেই নিজের স্বভাবসুলভ ঠাট্টার ভঙ্গিতে প্রতিক্রিয়া দেন অভিষেক বচ্চন। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, 'স্যার, সর্বোচ্চ সম্মান রেখেই বলছি—আমাকে আউট করতেও পারবে না! আমি তো ক্রিকেটই খেলি না। অভিনেতার এই মন্তব্যে হেসে খুন অনুরাগীরা।খেলাধুলার প্রতি গভীর ভালোবাসার জন্য পরিচিত অভিষেক বচ্চন বর্তমানে একাধিক স্পোর্টস টিমের মালিকও।
তাঁর রসিক প্রতিক্রিয়া চলতি ভারত-পাকিস্তান প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বাড়তি মজা যোগ করেছে। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের পারফরম্যান্স নিয়ে কড়া সমালোচনা করলেও, বাংলাদেশকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠার পর এবার শোয়েব আখতার দলটিকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন, “এই পাকিস্তানই পারে ভারতের অজেয় ধারায় ইতি টানতে”। যদিও ভারত ইতিমধ্যেই টুর্নামেন্টে দু'বার পাকিস্তানকে হারিয়েছে।
বুধবার বাংলাদেশকে ৪১ রানে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা পাকা করেছে টিম ইন্ডিয়া। সেখানে বাংলাদেশ ব্যাট সইফের ক্যাচ তিনবার ফেলেছেন ফিল্ডাররা। অন্যদিক থেকে পরপর উইকেট পড়তে থাকায় সেই ক্যাচ মিসের খেসারত দিতে হয়নি। এখনও পর্যন্ত এই টুর্নামেন্টে সূর্যরা অপরাজিত।ভারতকে বুধবার ১৬৮ রানে আটকে রেখেছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। কিন্তু শ্রীলঙ্কাকে হারানো আর ভারতের বিরুদ্ধে জয় পাওয়া এক ব্যাপার নয়। একাধিক ক্যাচ ফেললেন ভারতের ফিল্ডাররা।
এই ক্যাচ ফেলা ভারতের হেডস্যর গৌতম গম্ভীরকে চিন্তায় ফেলতে পারে। ফাইনালের আগে ফিল্ডিং নিয়ে পড়তে হবে গম্ভীরকে। এখনও পর্যন্ত ভারত প্রাধান্য নিয়েই ক্রিকেট খেলেছে এশিয়া কাপে। চ্যাম্পিয়নের ট্রফি হাতে উঠতে আর এক কদম দূরে ভারতীয় দল। ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচের বল গড়ানোর আগে থেকেই তর্জন-গর্জন করছিলেন ফিল সিমন্স, মেহেদি হসানরা। সিমন্স বলেছিলেন, ‘সবারই ভারতকে হারানোর ক্ষমতা রয়েছে। বাংলাদেশেরও রয়েছে।’
মেহেদি হাসান বলেছিলেন, ‘আর পাঁচটা ম্যাচের মতোই এই ম্যাচ।’ বুধবার ভারতের ১৬৮ রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ থেমে গেল ১২৭ রানে। রান তাড়া করাটা একদমই ভাল হয়নি বাংলাদেশের। হার্দিক পাণ্ডিয়ার প্রথম ওভারে ওঠে চার রান। বুমরাহ বল করতে এসেই আঘাত হানেন। তানজিদকে ফেরান চ্যাম্পিয়ন বোলার। কুলদীপ যাদবকে সুইপ মারতে গিয়ে ইমন ফেরেন অভিষেক শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়ে। ১৯ বলে ২১ রান করেন। বাংলাদেশ দ্বিতীয় উইকেট হারায় ৪৬ রানে। ৬৫ রানে তৃতীয় উইকেট যায় বাংলাদেশের।
এদিকে রান রেট বাড়তে শুরু করে। বড় শট খেলতে গিয়ে তৌহিদ হৃদয় আউট হন ৭ রানে। খাতা না খুলেই বোল্ড হন শামিম। জাকের আলি রান আউট হন মাত্র ৪ রানে। সইফ হাসান বাংলাদেশকে লড়াইয়ে রেখে দেন। যখনই রানের দরকার তখনই ছক্কা হাঁকান তিনি। ১৫ ওভারের প্রথম বলে সইফের ক্যাচ ফেলেন শিবম দুবে। পরের বলেই সইফুদ্দিন ধরা পড়েন তিলক ভার্মার হাতে। নিজেদের অবস্থা আরও কঠিন করে ফেলে বাংলাদেশ। ভাগ্য ভাল সইফের।
বরুণের ওভারেই ক্যাচ তুলে বেঁচে যান তিনি। এই যাত্রায় ক্যাচ ফেলেন ভারতের উইকেট কিপার সঞ্জু স্যামসন। রিশাদ হোসেন ও তানজিম দ্রুত ফেরেন। বাংলাদেশ নিজেদের বিপন্ন করে। অন্য প্রান্তে সইফের মতো জমে যাওয়া ব্যাটার রয়েছেন অথচ রিশাদ ও তানজিম নায়ক বনতে চেয়েছিলেন। পরপর দু'বলে দুই উইকেট নেন কুলদীপ। ম্যাচ জেতা ছিল কেবল সময়ের অপেক্ষা। সইফ একা লড়লেন। ৬৯ রানে তাঁকে ফেরান বুমরা। বাকিরা কেউই কিছু করতে পারেননি।
