আজকাল ওয়েবডেস্ক: আগামী বছরের জুনে বসবে ফিফা বিশ্বকাপের আসর। অংশ নেবে ৪৮ দেশ। আমেরিকা, মেক্সিকো ও কানাডায় বসতে চলেছে বিশ্বকাপের ২৩ তম আসর। কিন্তু তার আগে আচমকা ভেন্যু বদলের হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর ফলে মনে করা হচ্ছে, বিশ্বকাপের ম্যাচগুলো বোস্টন থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হতে পারে। যদিও এ ব্যাপারে জবাব দিয়েছে ফিফা।
প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বর মাসে নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে ‘ডেমোক্র্যাট শাসিত শহরগুলো’র বিরুদ্ধে নিজের কঠোর অবস্থান তুলে ধরে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘যদি কোনও শহরের সাম্প্রতিক অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে না আসে, তাহলে আমি ফিফা প্রধান জিয়ানি ইনফান্তিনোকে বলব ম্যাচ অন্য কোথাও সরিয়ে নিতে। ও অসাধারণ মানুষ। আশা করি, খুব সহজেই এটা মেনে নেবে। আমি বোস্টনের মানুষকে ভালবাসি। জানি যে, ওখানকার টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ওখানকার মেয়র ভাল নন। তিনি চরমপন্থী ভাবধারায় বিশ্বাসী।’ এটা ঘটনা, বোস্টনের কাছে ফক্সবোরোর জিলেট স্টেডিয়ামে আগামী বিশ্বকাপের সাতটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
এদিকে, ট্রাম্পের বিবৃতির জবাবে মুখ খুলেছে ফিফা। বিশ্ব ফুটবলের নিয়ামক সংস্থার আশা, আসন্ন বিশ্বকাপ আয়োজনে ১৬টি শহরই তৈরি। ফিফার এক মুখপাত্রের কথায়, ‘আমাদের আশা ১৬টি শহরই সফলভাবে বিশ্বকাপের ম্যাচ আয়োজনের জন্য তৈরি। এর জন্য সমস্ত শর্ত পূরণ করতেও তারা প্রস্তুত। তবে, নিরাপত্তার বিষয়টি অগ্রাধিকার পাবে। এই বিষয়টি নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। তারাই ঠিক করবে জনসুরক্ষায় কোনটা জরুরি।’
আরও পড়ুন: পারথ ম্যাচের আগেই খুশির খবর ভারতীয় দলে, চোটের জন্য এই অলরাউন্ডারকে পাচ্ছে না অস্ট্রেলিয়া
যদিও ট্রাম্পের বক্তব্যের বিরোধিতাও চলছে। প্লেফ্লাই স্পোর্টস কনসাল্টিংয়ের গ্লোবাল ইভেন্টের অন্যতম মালিক জন ক্রিস্টিক জানিয়েছেন, ‘প্রস্তুতির দিক থেকে কোনও খামতি নেই। টিকিট বিক্রিও ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রায় এক বছর ধরে হসপিটালিটি প্যাকেজ বিক্রি হচ্ছে।’ অনেকেই বলছেন, ট্রাম্পের মন্তব্য বাস্তবতার সঙ্গে কখনই মেলে না। কারণ তিন বছর ধরে বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। গোটা বিশ্বের মানুষকে স্বাগত জানাতে আয়োজক শহরগুলো তৈরি।
২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপ ব্রাজিল স্থানীয় আয়োজক কমিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রিকার্ডো ট্রেড বলেন, ‘আমেরিকায় প্রতিটি রাজ্যই বড়। সেখানে দুর্দান্ত সব স্টেডিয়াম রয়েছে। বিশ্বকাপের ম্যাচ সেখানে হেসেখেলে আয়োজিত হতে পারে। আমি বুঝতে পারছি না, এতে উদ্বেগের কী আছে!’ আয়োজকরা বলছেন, ‘আমরা ফিফার সঙ্গে কথা বলেছি। হোয়াইট হাউস টাস্ক ফোর্সের সঙ্গেও কাজ করছি। মনে হয় না যে, বিশ্বকাপের ভেন্যু পরিবর্তন হওয়ার মতো কোনও উদ্বেগ রয়েছে।’
