সূর্যর মতো ম্যাচিওরড নন। হতেও চান না। এইভাবেই পেরোতে চান স্বপ্নের সিঁড়ি। কাজ ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খোলামেলা দিব্যজ্যোতি দত্ত। শুনলেন শ্যামশ্রী সাহা
হঠাৎ করে ছোটবেলায় ফিরে কেমন লাগছে?
‘অনুরাগের ছোঁয়া’ প্রায় আড়াই বছর ধরে চলছে। এতদিন ধরে একটা ধারাবাহিক চললে অনেকেই অভিযোগ করেন, একঘেয়েমির। আমার চরিত্রটাও অনেকদিন ধরেই চলছে। এখানে চরিত্রটাকে ব্রেক করার একটা সুযোগ পেয়েছি। একই চরিত্রে থেকে অন্যরকমভাবে অভিনয় করার সুয়োগ পাচ্ছি। শৈশবে ফিরে গিয়েছি। ভাল লাগছে। ট্র্যাকে ফেরার দুদিনের মধ্যে জানতে পারি আমার চরিত্রের নতুন দিকের কথা। পরিচালকের সঙ্গে আলোচনা করেছি। প্রথমে একটু ভয় করছিল। চরিত্রটা নিয়েছি ভেবেওছি। একটা পাঁচ বছরের বাচ্চা দুনিয়াটাকে কীভাবে দেখে,বোঝার চেষ্টা করেছি।
এভাবে বাচ্চা হয়ে যেতে দেখে মহিলা অনুরাগীরা কী বলছেন?
একটা মজার ঘটনা বলি। একটা জায়গায় গিয়েছিলাম, হঠাৎ একটা মেয়ে এসে আইসক্রিম দিয়ে গেল। বলল, ‘’ওই এপিসোডে তুমি আইসক্রিম খেতে পারোনি দেখে খুব কষ্ট পেয়েছি। তাই তোমার জন্য নিয়ে এলাম।‘’
অল্পসময়েই জনপ্রিয় হয়েছেন ভাগ্য না পরিশ্রম?
আপনাকে একটা মনের কথা বলি, যখন ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র ওয়ার্কশপ চলছিল তখনই মনে হয়েছিল এই ধারাবাহিকটা অনেক দূর যাবে। দর্শকের ভাল লাগবে। সেটাই হয়েছে। আমি কতটুকু দিতে পেরেছি জানি না,এই ধারাবাহিক আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। এই যে আমার ইন্টারভিউ হচ্ছে, সেটা এই ধারাবাহিকের জন্যই।
একই সিরিয়ালে তিনজন বউ-প্রেমিকা, বেশ লাকি আপনি
হ্যাঁ। অনেকেই বলে আমরা একজন নায়িকা পাইনা, তুই তিনজন পেয়েছিস।
কার সঙ্গে কাজ করতে বেশি স্বচ্ছন্দবোধ করেছেন?
দীপার সঙ্গে অনেক সিন। মিশকার সঙ্গে অনেক পরে আলাপ হয়েছে। তবে জয়ীতে দেবাদৃতার সঙ্গে কাজ করে ভাল লেগেছে। শ্রুতির সঙ্গে এখনও কথা হয়।
অল্পদিনেই আপনার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অনেক গুঞ্জন...
এদিকে মন দিলে, বিরক্ত হলে তো কাজ করতে পারব না। আর এগুলো তো আমার হাতে নেই।
স্বস্তিকার(ঘোষ) সঙ্গে তো খুব ভাল সম্পর্ক ছিল, একসঙ্গে জিমও করতেন এখন সেটা নেই কেন?
বন্ধুদের মধ্যে আড়ি-ভাব, ঝামেলা তো থাকবেই।
ইন্ডাস্ট্রিতে আপনার বন্ধু কারা?
আমার কোনও বন্ধু নেই। সবাই ভাই। আর অভিনত্রীরা শুধুই বন্ধু। এর বেশি কিছু নয়।
জীবনে কি দীপার মতো পারফেক্ট পার্টনার চান?
লাইফে আমি আমার মতো পার্টনার চাই। খুব ম্যচিওরড কাউকে দরকার নেই। যে আমাকে ভালবাসবে, ছেলেমানুষি থাকবে।
আপনার কোনও লাভস্টোরি নেই বলছেন?
হয়তো আমি হতে দিইনি বা আস্কারা দিইনি।
নায়িকাদের সঙ্গে বন্ধুত্বের বেশি কিছু হয়নি?
(হেসে) ছাড়ুন না। বাদ দিন ওসব কথা।
শুনেছি লাভ লেটার জমানোটা আপনার হবি। বেস্ট লাভ লেটার কোনটা?
সব যত্ন করে লকারে তুলে রেখেছি। কাউকে দেখাই না কিন্তু ছেলে-মেয়ে নাতি-নাতনিদের দেখাব। ওই লেটারগুলো যারা আমায় দিয়েছে ভালবেসে দিয়েছে। আমার কাছে আশীর্বাদের মতো। ২০১৮-এ একটা প্রেমপত্র পেয়েছিলাম। সঙ্গে একটা গোলাপ। লেখা ছিল, ‘’আমার মতো আর কাউকে তুমি পাবে না। তুমি যদি আমার না হও কোনওদিনও কারওর হতে পারবে না।‘’
অনেকটা সময় আপনি ধারাবাহিকে ছিলেন না, রটেছিল ধারাবাহিকে আপনাকে আর দেখা যাবে না? ওই সময়টা কীভাবে কাটিয়েছেন?
১০-১২ ঘন্টা শুটিং ফ্লোরে কাটাতাম। সেখান থেকে ব্রেক। খারাপ লাগত। মনে হত জীবনে কিছু একটা নেই। ফাঁকা ফাঁকা লাগত। খারাপ ফেস ছিল। এক সপ্তাহ খুব বাজে কেটেছে। তারপর বাবাকে নিয়ে ঘুরতে চলে গিয়েছি। পরিবারের সঙ্গে কাটিয়েছি। তার মধ্যেও শুটিং ফ্লোর, কো-অ্যাক্টরদের খুব মিস করতাম।
একটা সময় অনেকদিন ‘বাংলা সেরা’ ছিল এই ধারাবাহিক। এখন টিআরপি তালিকার অনেকটা নিচে
এটা আমার কাছে চাপের বিষয় নয়। এত ভাবলে চলবে না। কাজ করে যেতে হবে।
দেশের মাটি, জয়ী বা অনুরাগের ছোঁয়ায় যে চরিত্রে কাজ করেছেন, কোন চরিত্রের সঙ্গে দিব্যজ্যোতির মিল বেশি?
ঋভুর সঙ্গে মিল বেশি। সূর্য খুব ম্যাচিওরড। দিব্যর এতটা ম্যাচিওরিটি নেই। বয় থেকে এখনও ম্যান হয়ে উঠতে পারিনি।
অনেকদিন তো হয়ে গেল ইন্ডাস্ট্রিতে। এখনও পরিণত হননি?
পরপর চারটে কাজ করলাম। অফস্ক্রিন ম্যাচিওরড না হলেও আমার চরিত্রগুলো বেশ বলিষ্ঠ।
ব্যবসায়ী পরিবার থেকে অভিনয়ে এলেন কীভাবে, ছোটবেলার শখ?
ছোটবেলা থেকেই অভিনেতা হওয়ার ইচ্ছে ছিল। প্রথম অডিশনেই সফল। এত তাড়াতাড়ি অভিনয় করতে পারব ভাবিনি। শুটিং ফ্লোরে প্রথম দিন তো খুব ভয়ে ছিলাম। যাঁদের এতদিন টিভিতে দেখছি, তাঁদের সঙ্গে অভিনয় করব, সংলাপ বলব। পুরো ব্যাপারটাই স্বপ্নের মতো। প্রথমদিকে তো সংলাপ মনে রাখতে পারতাম না। ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতেই পারতাম না। অ্যাঙ্গেলও বুঝতে পারতাম না।
নতুন কাজের সুযোগ এসেছে?
কন্ট্রাক্টে আছি সবাই জানেন। তাই নতুন কোনও অফার এখনও আসেনি।
‘অনুরাগের ছোঁয়া’র পর কী করবেন ভেবেছেন? ছোটপর্দা না বড়পর্দার নায়ক?
দেখুন আমার গুরুদেব তো নায়ক, চরিত্রাভিনেতা দুটোতেই সফল।
কে আপনার গুরুদেব?
মহানায়ক উত্তমকুমার।
তাহলে এবার নায়ক ছাড়াও অন্যান্য চরিত্রে আপনাকে দেখা যেতে পারে?
(একটু ভেবে) নায়কই হতে চাইব। তবে সেই চরিত্রে অনের স্তর থাকবে। বড়পর্দার প্রস্তুতিও চলছে। দেখা যাক কী হয়।
হঠাৎ করে ছোটবেলায় ফিরে কেমন লাগছে?
‘অনুরাগের ছোঁয়া’ প্রায় আড়াই বছর ধরে চলছে। এতদিন ধরে একটা ধারাবাহিক চললে অনেকেই অভিযোগ করেন, একঘেয়েমির। আমার চরিত্রটাও অনেকদিন ধরেই চলছে। এখানে চরিত্রটাকে ব্রেক করার একটা সুযোগ পেয়েছি। একই চরিত্রে থেকে অন্যরকমভাবে অভিনয় করার সুয়োগ পাচ্ছি। শৈশবে ফিরে গিয়েছি। ভাল লাগছে। ট্র্যাকে ফেরার দুদিনের মধ্যে জানতে পারি আমার চরিত্রের নতুন দিকের কথা। পরিচালকের সঙ্গে আলোচনা করেছি। প্রথমে একটু ভয় করছিল। চরিত্রটা নিয়েছি ভেবেওছি। একটা পাঁচ বছরের বাচ্চা দুনিয়াটাকে কীভাবে দেখে,বোঝার চেষ্টা করেছি।
এভাবে বাচ্চা হয়ে যেতে দেখে মহিলা অনুরাগীরা কী বলছেন?
একটা মজার ঘটনা বলি। একটা জায়গায় গিয়েছিলাম, হঠাৎ একটা মেয়ে এসে আইসক্রিম দিয়ে গেল। বলল, ‘’ওই এপিসোডে তুমি আইসক্রিম খেতে পারোনি দেখে খুব কষ্ট পেয়েছি। তাই তোমার জন্য নিয়ে এলাম।‘’
অল্পসময়েই জনপ্রিয় হয়েছেন ভাগ্য না পরিশ্রম?
আপনাকে একটা মনের কথা বলি, যখন ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র ওয়ার্কশপ চলছিল তখনই মনে হয়েছিল এই ধারাবাহিকটা অনেক দূর যাবে। দর্শকের ভাল লাগবে। সেটাই হয়েছে। আমি কতটুকু দিতে পেরেছি জানি না,এই ধারাবাহিক আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। এই যে আমার ইন্টারভিউ হচ্ছে, সেটা এই ধারাবাহিকের জন্যই।
একই সিরিয়ালে তিনজন বউ-প্রেমিকা, বেশ লাকি আপনি
হ্যাঁ। অনেকেই বলে আমরা একজন নায়িকা পাইনা, তুই তিনজন পেয়েছিস।
কার সঙ্গে কাজ করতে বেশি স্বচ্ছন্দবোধ করেছেন?
দীপার সঙ্গে অনেক সিন। মিশকার সঙ্গে অনেক পরে আলাপ হয়েছে। তবে জয়ীতে দেবাদৃতার সঙ্গে কাজ করে ভাল লেগেছে। শ্রুতির সঙ্গে এখনও কথা হয়।
অল্পদিনেই আপনার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অনেক গুঞ্জন...
এদিকে মন দিলে, বিরক্ত হলে তো কাজ করতে পারব না। আর এগুলো তো আমার হাতে নেই।
স্বস্তিকার(ঘোষ) সঙ্গে তো খুব ভাল সম্পর্ক ছিল, একসঙ্গে জিমও করতেন এখন সেটা নেই কেন?
বন্ধুদের মধ্যে আড়ি-ভাব, ঝামেলা তো থাকবেই।
ইন্ডাস্ট্রিতে আপনার বন্ধু কারা?
আমার কোনও বন্ধু নেই। সবাই ভাই। আর অভিনত্রীরা শুধুই বন্ধু। এর বেশি কিছু নয়।
জীবনে কি দীপার মতো পারফেক্ট পার্টনার চান?
লাইফে আমি আমার মতো পার্টনার চাই। খুব ম্যচিওরড কাউকে দরকার নেই। যে আমাকে ভালবাসবে, ছেলেমানুষি থাকবে।
আপনার কোনও লাভস্টোরি নেই বলছেন?
হয়তো আমি হতে দিইনি বা আস্কারা দিইনি।
নায়িকাদের সঙ্গে বন্ধুত্বের বেশি কিছু হয়নি?
(হেসে) ছাড়ুন না। বাদ দিন ওসব কথা।
শুনেছি লাভ লেটার জমানোটা আপনার হবি। বেস্ট লাভ লেটার কোনটা?
সব যত্ন করে লকারে তুলে রেখেছি। কাউকে দেখাই না কিন্তু ছেলে-মেয়ে নাতি-নাতনিদের দেখাব। ওই লেটারগুলো যারা আমায় দিয়েছে ভালবেসে দিয়েছে। আমার কাছে আশীর্বাদের মতো। ২০১৮-এ একটা প্রেমপত্র পেয়েছিলাম। সঙ্গে একটা গোলাপ। লেখা ছিল, ‘’আমার মতো আর কাউকে তুমি পাবে না। তুমি যদি আমার না হও কোনওদিনও কারওর হতে পারবে না।‘’
অনেকটা সময় আপনি ধারাবাহিকে ছিলেন না, রটেছিল ধারাবাহিকে আপনাকে আর দেখা যাবে না? ওই সময়টা কীভাবে কাটিয়েছেন?
১০-১২ ঘন্টা শুটিং ফ্লোরে কাটাতাম। সেখান থেকে ব্রেক। খারাপ লাগত। মনে হত জীবনে কিছু একটা নেই। ফাঁকা ফাঁকা লাগত। খারাপ ফেস ছিল। এক সপ্তাহ খুব বাজে কেটেছে। তারপর বাবাকে নিয়ে ঘুরতে চলে গিয়েছি। পরিবারের সঙ্গে কাটিয়েছি। তার মধ্যেও শুটিং ফ্লোর, কো-অ্যাক্টরদের খুব মিস করতাম।
একটা সময় অনেকদিন ‘বাংলা সেরা’ ছিল এই ধারাবাহিক। এখন টিআরপি তালিকার অনেকটা নিচে
এটা আমার কাছে চাপের বিষয় নয়। এত ভাবলে চলবে না। কাজ করে যেতে হবে।
দেশের মাটি, জয়ী বা অনুরাগের ছোঁয়ায় যে চরিত্রে কাজ করেছেন, কোন চরিত্রের সঙ্গে দিব্যজ্যোতির মিল বেশি?
ঋভুর সঙ্গে মিল বেশি। সূর্য খুব ম্যাচিওরড। দিব্যর এতটা ম্যাচিওরিটি নেই। বয় থেকে এখনও ম্যান হয়ে উঠতে পারিনি।
অনেকদিন তো হয়ে গেল ইন্ডাস্ট্রিতে। এখনও পরিণত হননি?
পরপর চারটে কাজ করলাম। অফস্ক্রিন ম্যাচিওরড না হলেও আমার চরিত্রগুলো বেশ বলিষ্ঠ।
ব্যবসায়ী পরিবার থেকে অভিনয়ে এলেন কীভাবে, ছোটবেলার শখ?
ছোটবেলা থেকেই অভিনেতা হওয়ার ইচ্ছে ছিল। প্রথম অডিশনেই সফল। এত তাড়াতাড়ি অভিনয় করতে পারব ভাবিনি। শুটিং ফ্লোরে প্রথম দিন তো খুব ভয়ে ছিলাম। যাঁদের এতদিন টিভিতে দেখছি, তাঁদের সঙ্গে অভিনয় করব, সংলাপ বলব। পুরো ব্যাপারটাই স্বপ্নের মতো। প্রথমদিকে তো সংলাপ মনে রাখতে পারতাম না। ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতেই পারতাম না। অ্যাঙ্গেলও বুঝতে পারতাম না।
নতুন কাজের সুযোগ এসেছে?
কন্ট্রাক্টে আছি সবাই জানেন। তাই নতুন কোনও অফার এখনও আসেনি।
‘অনুরাগের ছোঁয়া’র পর কী করবেন ভেবেছেন? ছোটপর্দা না বড়পর্দার নায়ক?
দেখুন আমার গুরুদেব তো নায়ক, চরিত্রাভিনেতা দুটোতেই সফল।
কে আপনার গুরুদেব?
মহানায়ক উত্তমকুমার।
তাহলে এবার নায়ক ছাড়াও অন্যান্য চরিত্রে আপনাকে দেখা যেতে পারে?
(একটু ভেবে) নায়কই হতে চাইব। তবে সেই চরিত্রে অনের স্তর থাকবে। বড়পর্দার প্রস্তুতিও চলছে। দেখা যাক কী হয়।
