৬০-৭০-এর দশকের সেরা অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন জিনাত আমন। শুধু অভিনয় নয়, তাঁর শরীরী ভাঁজ, ছিপছিপে চেহারা প্রশংসিত হত দর্শকমহলে। সময়ের সঙ্গে বয়স বাড়লেও তাঁর চেহারায় একটুকু ছাপ পড়েনি। ৭৪  বছর বয়সে আজও ‘হরে রাম হরে কৃষ্ণ’ ছবির অভিনেত্রী আগের মতোই ফিট। তাঁর সাদামাটা কিন্তু প্রাণবন্ত খাদ্যাভ্যাস যেন প্রমাণ করেছে স্বাস্থ্যের দিক থেকে ভারসাম্যই সেরা। 

এক সাক্ষাৎকারে জিনাত জানিয়েছিলেন তিনি কখনও নামীদামি পুষ্টিবিদের থেকে টিপস নেননি। অভিনেত্রীর মা-ই ডায়েট ঠিক করে দিতেন। তাঁর পরামর্শ মেনে খাওয়াদাওয়া করেই ফিট থাকতেন তিনি। বাইরের খাবার খুব একটা পছন্দ নয় অভিনেত্রীর। তাঁর খাবারের প্রতিটি পছন্দে রয়েছে মায়ের স্নেহের পরশ। 

জিনাত আমানের সকালে শুরু হয় এক কাপ কালো চা, সঙ্গে ভিজিয়ে রাখা ও খোসা ছাড়ানো বাদাম দিয়ে। যা তাঁর দিনের প্রথম এনার্জি ও পুষ্টি জোগায়। পরবর্তী সময় অভিনেত্রীর প্রিয় প্রাতঃরাশ হল টোস্টে অ্যাভোকাডো স্ম্যাশ আর চিজ। কখনও কখনও চিলা বা পোহা খেতেও ভালবাসেন তিনি। 

দুপুরে ঘরোয়া খাবারে লাঞ্চ সারেন জিনাত। তাঁর পাতে থাকে ডাল, মটর আলু, পনীর টিক্কা, এবং ঘরে তৈরি টমেটো চাটনি, সঙ্গে রুটি। বিকেল প্রায় ৫টা নাগাদ তিনি খান রোস্ট করা মখানা, হালকা মশলা মাখানো মুড়ি। কম ক্যালরিযুক্ত এই স্ন্যাকস বেশ পুষ্টিকর। মিষ্টি থেকেও নিজেকে পুরোপুরি বঞ্চিত করেন না জিনাত। প্রিয় ডেসার্ট হল রয়েস নামে এক ধরনের চকোলেট। তবে পরিমাণের দিকে তিনি সবসময় খেয়াল রাখেন। পরিমিত আহার ও সময় ধরে খাওয়া-এই দুই অভ্যাসই জিনাতের সুস্বাস্থ্যের গোপন চাবিকাঠি। 

যদিও নিজে খুব বেশি রান্না করতে পারেন না জিনাত। রান্নাঘরে তাঁর সীমাবদ্ধতা স্বীকার করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, “কিচেনে সবচেয়ে বেশি যা করতে পারি, তা হল ডিম সিদ্ধ।"একসময় রান্না না পারার জন্য লজ্জাও পেয়েছিলেন, কিন্তু কিশোর বয়স থেকে পরিবারের খাওয়ার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন তিনি।