আজকাল ওয়েবডেস্কঃ ডায়াবেটিস ধরা পড়লেই খাওয়াদাওয়ায় নানা বিধিনিষেধ লাগু হয়। আসলে এমন কিছু খাবার রয়েছে যা খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। যার মধ্যে অন্যতম আলু। শর্করা এবং স্টার্চ বেশি থাকে আলুতে। এছাড়াও এই সবজিতে রয়েছে ভরপুর পরিমাণে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স। এদিকে বাঙালির হেঁশেলে আমিষ হোক বা নিরামিষ, যে কোনও রান্নাই আলু ছাড়া চলে না। সেদ্ধ, ভাজা, তরকারি, নানা অবতারে ধরা দেয় আলু। তবে কয়েকটি নিয়ম মেনে আলু খেলেই ব্লাড সুগার বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না। ঝটপট জেনে নিন সেইসব নিয়ম-
১. খাওয়ার আগে ঠান্ডা করে নিনঃ ডায়াবেটিসে সেদ্ধ আলু ঠান্ডা করে খেতে পারেন। সাদা স্টার্চ ফ্রিজে রাখলে তাতে এমন কিছু পরিবর্তন হয় যা হজম করা কঠিন। ফলে রক্তে শর্করা খুব বেশি বাড়ে না এবং শরীরে কম ক্যালোরি এবং চিনি শোষিত হয়। এমনকী ঠান্ডা আলু ফের গরম করলেও একই ফল পাওয়া যায়। তাই আলু সেদ্ধ করার পর ঠান্ডা করে খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা।
২. ফ্যাট ও প্রোটিনের সঙ্গে খানঃ আলুতে ফ্যাট ও প্রোটিন যোগ করলে গ্লাইসেমিক প্রভাব কমে যায়। যেমন চিজের মতো কিছু খাবার আলুর সঙ্গে খেলে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৩. ভিনিগার যোগ করুনঃ ভিনিগারে রয়েছে অ্যাসেটিক অ্যাসিড যা আলুতে যোগ করলে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে। আলু সেদ্ধ ঠান্ডা করার সঙ্গে তাতে খানিকটা ভিনিগার মেশান। ব্যাস, এতেই ডায়াবেটিসে আলু খাওয়ার আর কোনও ভয় থাকবে না।
৪. কেকের মতো বেক করুন: কেকের মতো আলুও বেক করে খেতে পারেন। অল্প তাপমাত্রায় বেক করলে আলুর উপকারী গুণগুলি বজায় থাকে। সঙ্গে কমে স্টার্চের পরিমাণও। তাই আলু ভাজার পরিবর্তে মশলা দিয়ে নিশ্চিন্তে খান বেকড আলু।
৫. আগে সবজি খানঃ আলু খাওয়ার আগে বেশ অনেকটা পরিমাণে সবজি খেয়ে নিতে পারেন। সবজি রয়েছে ফাইবার যা খেলে কার্বোহাইড্রেট পরিপাকের গতি শ্লথ হয়ে যায়। ফলে আচমকা রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার ভয় থাকে না।
