আজকাল ওয়েবডেস্ক: রেল লাইনে গলা দিতে গিয়েছিলেন, দিয়ে ফেললেন মন! এমনই ঘটনা ঘটল পেশায় নার্স এক মহিলার সঙ্গে। শার্লট লে নামের বছর ৩৩ -এর এক মহিলা মানসিক অবসাদের চাপে রেল লাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু চালকের সতর্কতায় প্রাণে বেঁচে যান তিনি। এ বার সেই ট্রেনচালকের সঙ্গেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন তিনি।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী ইংল্যান্ডের ইয়র্কশায়ারের ব্র্যাডফোর্ড রেল স্টেশনের কাছে আচমকাই রেল লাইনে উঠে পড়েন শার্লট। কিন্তু ট্রেনচালক ডেভ লে-এর তৎপর ছিলেন। সময় মতো ব্রেক কষেন তিনি। কোনও মতে প্রাণরক্ষা হয় মহিলার। এর পর ডেভ নিজের চলকাসন থেকে নেমে সরাসরি গিয়ে কথা বলেন শার্লটের সঙ্গে। প্রায় আধঘণ্টা কথা বলার পর, শার্লট ট্রেনে উঠতে রাজি হন। এর পরের স্টেশনে তাঁকে নামিয়ে দেন চালক। প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে মানসিক চিকিৎসারও ব্যবস্থা করেন তিনি।

এর পর চালককে ধন্যবাদ জানাতে ফেসবুকে রেলচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। সেখানেই কথোপকথনের মাধ্যমে পরস্পরের সম্পর্ক তৈরি হয়। সম্পর্কের পরিণতিতেই এবার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন দু'জন। শার্লটের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তিনি আগে থেকেই গুরুতর মানসিক চাপ, উদ্বেগ এবং পিটিএসডির শিকার। কী এই পিটিএসডি? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় 'পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসর্ডার'। সহজ ভাষায় বললে, কখনও কখনও মানুষ যখন বড় ধরনের কোনও মানসিক আঘাত বা ট্রমার মধ্যে দিয়ে যায় তখন তাঁদের মধ্যে কোনও কোনও সময় এই রোগ দেখা দেয়। এই রোগের প্রধান লক্ষণ হল, রোগী মাঝেমধ্যে নিজের পারিপার্শ্বিক অবস্থার কথা পুরোপুরি ভুলে যান। তাঁদের মনে হয় তাঁরা যেন সেই আগের আঘাতের মুহূর্তে পৌঁছে গিয়েছেন। সেই অবস্থা অনুযায়ী আচরণ করতে থাকেন তাঁরা। কোনও পারিপার্শ্বিক জ্ঞান থাকে না। তাই এই ধরনের সমস্যায় চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যিক।