আজকাল ওয়েবডেস্ক: কুকুর মানুষের সবচেয়ে ভাল বন্ধু। একথা যেমন সত্যি তেমনই সতর্ক না থাকলে অজান্তেই পোষ্য কুকুরের থেকেই দেহে ছড়িয়ে পড়তে পারে বিভিন্ন রোগ। তেমনই একটি ঘটনায় হুলস্থুল পড়ে গিয়েছে তিউনিসিয়ায়।
সম্প্রতি তিউনিসিয়ায় এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর পেটে টেনিস বলের চেয়েও বড় আকারের একটি বিশালাকার ফিতাকৃমির সিস্ট খুঁজে পেয়েছেন চিকিৎসকরা। এহেন ঘটনায় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মধ্যে তুমুল উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।
নিউইয়র্ক পোস্টের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২৬ বছর বয়সি এক নারী সম্প্রতি পেটে তীব্র ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে যান। তিনি প্রায় প্রায় ২০ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা। প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসকেরা ভেবেছিলেন গর্ভাবস্থা সংক্রান্ত কোনও অসুবিধা হচ্ছে তরুণীর। কিন্তু সিটি স্ক্যান করার পর যা দেখতে পান, তাতে চক্ষু চড়কগাছ ডাক্তারদের। দেখা যায় রোগীর শ্রোণী অঞ্চলে একটি হাইড্রাটিড সিস্ট হয়েছে। আর তা হয়েছে ফিতাকৃমি সংক্রমণের কারণে।
বিশেষজ্ঞরা জানান যে এই ধরনের সংক্রমণ সাধারণত ফিতাকৃমির ডিম বহনকারী কুকুরের সংস্পর্শে আসার কারণে ঘটে। যদিও এই নির্দিষ্ট কেসের ক্ষেত্রে সংক্রমণের উৎস নিশ্চিত করা যায়নি, তবে সিস্টের বৈশিষ্ট্যগুলি হাইড্রাটিড সিস্টের সঙ্গে মিলে যায়, যা ইকিনোকক্কাস ফিতাকৃমির কারণে হয়। বিশেষজ্ঞদের দাবি, কুকুর, বিশেষ করে গ্রামীণ অঞ্চলের কুকুর, এই পরজীবী বহন করতে পারে। কুকুর যদি কাঁচা মাংস খায় বা আক্রান্ত পশুর সংস্পর্শে আসে তবে ঝুঁকি অনেকটাই বাড়ে। আর সংক্রমিত কুকুরের সংস্পর্শে এলে পরজীবীটি ছড়িয়ে পড়তে পারে মানুষের দেহেও।
