আজকাল ওয়েবডেস্ক: দীর্ঘদিন ধরেই সন্তানধারণের চেষ্টা করছিলেন দম্পতি। কিন্তু সফল হচ্ছিলেন না কিছুতেই। শেষ পর্যন্ত কৃত্রিম গর্ভধারণ বা ‘আইভিএফ’ পদ্ধতির মাধ্যমে সন্তান নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন দম্পতি। কিন্তু এই সিদ্ধান্তে যে তাঁরই কপাল পুড়বে সেকথা স্বপ্নেও ভাবেননি মহিলা। সম্প্রতি নেটমাধ্যম রেড্ডিটে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই মহিলা। 

বছর ৩৬-এর ওই বধূ জানান, তাঁর বিয়ে হয়েছে প্রায় ১০ বছর। গত সাত বছর ধরে তিনি চেষ্টা করছিলেন সন্তানের জন্য। কিন্তু তাতে সফল না হওয়ায় হঠাৎ করেই একদিন ‘আইভিএফ’ পদ্ধতি গ্রহণের পরামর্শ দেন তাঁর স্বামী। স্বামী আরও পরামর্শ দেন, বেশি দূরে খোঁজ নেওয়ার দরকার নেই। ওই বধূর কলেজবেলার এক বান্ধবী তাঁদের খুবই ঘনিষ্ঠ। তিনিই এই কাজে তাঁদের সহায়তা করতে পারেন। স্বামীর কথায় বান্ধবীকে অনুরোধ করেন ওই বধূ। বান্ধবী রাজিও হন। ‘আইভিএফ’ পদ্ধতিতে সাধারণত অন্য কোনও ধাত্রী মায়ের গর্ভে কৃত্রিম পদ্ধতিতে আগ্রহী দম্পতির ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর মিলন ঘটানো হয়। তার পর সেই ধাত্রী মায়ের গর্ভেই জন্ম নেয় সন্তান। মহিলা ভেবেছিলেন এক্ষেত্রেও তেমনই হয়েছে। পুত্র সন্তানের জন্ম নিয়ে খুব খুশিও হন তিনি।

সব ঠিকই ছিল, কিন্তু একদিন ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালে যেতেই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে মহিলার। হাসপাতালে ছেলের স্বাভাবিক রক্ত পরীক্ষা করাতে দেন তিনি। সেখানেই দেখা যায় সন্তানের রক্তের গ্রুপ তিনি বা তাঁর স্বামী কারও সঙ্গেই মিলছে না। প্রসঙ্গত বলে রাখা দরকার, সন্তানের রক্তের গ্রুপ বাবা কিংবা মায়ের মধ্যে যে কোনও একজনের সঙ্গে মেলে। এই ঘটনায় সন্দেহ হয় মহিলার। ডিএনএ পরীক্ষা করান ছেলের। তাতে দেখা যায়, স্বামীর সঙ্গে ডিএনএ মিললেও তাঁর সঙ্গে মিলছে না ছেলের ডিএনএ। এর পরই স্বামীকে চেপে ধরেন তিনি। চাপে পড়ে স্বামী স্বীকার করেন, বধূর বান্ধবীর সঙ্গে পরকীয়া ছিল তাঁর। সেই সম্পর্কের জেরেই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন বান্ধবী। বিষয়টি ধামাচাপা দিতেই ‘আইভিএফ’ ব্যবহারের নাটক করেন তিনি। আদতে স্ত্রীর ডিম্বাণু ব্যবহার করাই হয়নি। 

নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে ওই মহিলা সতর্ক করেছেন অন্য নারীদের। পাশাপাশি তাঁর এই বিবরণ শোনার পর নিন্দার ঝড় উঠেছে স্বামীকে কেন্দ্র করে।