অভিনেত্রীরা বরাবরই আমজনতার অনুপ্রেরণা। তা সে তারকার ছিপছিপে চেহারাই হোক কিংবা কোমল-মোলায়েম ত্বক। বিশেষ করে পেশার তাগিদে তাঁদের ছিপছিপে গড়ন ধরে রাখতে হয়।ঠিক যেমন পর্দায় ঝলমলে, বাস্তব জীবনেও নিজের ফিটনেস ও উজ্জ্বল ত্বকের জন্য অনন্য তামান্না ভাটিয়া। বলিউড ও দক্ষিণী অভিনেত্রী তাঁর সুন্দর শারীরিক গড়ন ও উজ্জ্বল ত্বকের জন্য দর্শক মহলে প্রশংসিত হন। সম্প্রতি তিনি নিজের খাদ্যাভ্যাস ও দৈনন্দিন ডায়েট প্ল্যান নিয়ে খোলাখুলি জানিয়েছেন। প্রশ্ন উঠছে এই ডায়েট কি সকলের জন্য কার্যকর? এবিষয়ে বিশ্লেষণ করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট ড. পালানিয়াপ্পান মণিক্যম (ড. পাল)।
* ব্রেকফাস্টে গ্লুটেন-ফ্রি স্মুদি ও ডিম: তামান্না দিনের শুরু করেন গ্লুটেন-ফ্রি স্মুদি, ডিম ও সবজির সঙ্গে। ড. পাল বলেন—গ্লুটেন-ফ্রি ডায়েট আসলে সেলিয়াক রোগীদের জন্য আবশ্যক, তবে অন্যদের জন্য গ্লুটেন বাদ দেওয়া অপরিহার্য নয়। তামান্নার মতো স্মুদি ও ডিম দিয়ে দিন শুরু করা স্বাস্থ্যকর। প্রতিদিনের স্ন্যাকসে ২০ গ্রাম প্রোটিন ও ৮-১০ গ্রাম ফাইবার থাকা দরকার।
আরও পড়ুনঃ পেট কি ভরেছে? খাওয়ার পর বুঝতে পারেন না? শরীরের এই সব লক্ষণই জানায় দেয় প্রয়োজনের বেশি খাচ্ছেন আপনি
* দুপুরের খাবার—ডাল, রুটি, সবজি: অভিনেত্রীর দুপুরের মেনুতে থাকে সাধারণ ভারতীয় খাবার—ডাল, রুটি আর সবজি। ড. পালের মতে, ডাল স্বাস্থ্যকর হলেও একাই যথেষ্ট নয়। প্রোটিন ও ফাইবার বাড়াতে তিনি ডাল ও দই একসঙ্গে খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এতে পুষ্টিগুণ দ্বিগুণ হয় এবং দীর্ঘ সময় পেট ভরা থাকে।
* বিকেলের স্ন্যাকস—বাদাম: তামান্না বিকেলে খান নানা ধরনের বাদাম। এবিষয়ে ড. পাল বলেন, বাদাম স্বাস্থ্যকর হলেও এতে ক্যালোরি বেশি। তাই দিনে ১০-১৫টির বেশি বাদাম না খাওয়াই ভাল। সঠিক পরিমাণে বাদাম খেলে শরীরে ভাল ফ্যাট ও ভিটামিন-ই পাওয়া যায়, যা ত্বক ও চুলের জন্যও উপকারী।

* রাতের খাবার—প্রোটিনসমৃদ্ধ: অভিনেত্রীর রাতের মেনুতে থাকে ডিম ও সবজি। ড. পাল এই অভ্যাসকে প্রশংসা করে বলেছেন, রাতের খাবারে প্রোটিন রাখলে তা শরীরকে প্রয়োজনীয় শক্তি দেয় এবং মাঝরাতের খিদে কমায়।
আরও পড়ুনঃ রোগা হতে ডায়েট, ক্যালোরি কাউন্ট সব ভুলে যান! এই জাপানি কৌশল মেনে চললেই অল্প দিনে মিলবে সেরা ফল
উজ্জ্বল ত্বকের রহস্য—জল: তামান্না জানিয়েছেন, তাঁর উজ্জ্বল ত্বকের গোপন রহস্য হলো প্রচুর জল পান। ড. পাল একমত হয়ে বলেন, ডিহাইড্রেশন থাকলে মানুষ ভুল করে খিদে অনুভব করে, ফলে অপ্রয়োজনীয় খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। নিয়মিত পর্যাপ্ত জল পান করলে শরীর শুধু শক্তিই পায় না, ত্বকও উজ্জ্বল হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ডায়েট মোটামুটি সবার জন্যই স্বাস্থ্যকর হতে পারে। তবে সকলের শরীর, বয়স ও স্বাস্থ্য সমস্যা আলাদা। তাই কারও যদি ওজন নিয়ন্ত্রণ, ডায়াবেটিস বা অন্য জটিলতা থাকে, তবে চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে এই ধরনের ডায়েট মেনে চলা উচিত।
