বাসে করে বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যান করেছেন। বেশ কয়েক ঘণ্টার যাত্রার পরই গন্তব্যস্থল। কিন্তু আধ ঘণ্টা যেতে না যেতেই শুরু হল অস্বস্তি। গা-বমি, মাথা ঘোরানোর কারণে সিটে কিছুতেই স্বস্তিতে বসে থাকতে পারছেন না। একই সমস্যায় পড়েন গাড়িতে উঠলেও। পাহাড় তো বটেই, এমনকি সমতলেও গাড়িতে উঠলেই খানিকক্ষণ বসার পরই গা গুলিয়ে ওঠে। এদিকে অস্বস্তিতে সকলের সামনে বমি পাওয়ার কথা বলতে পারেন না। আমাদের আশেপাশে অনেক মানুষই এই সমস্যায় ভুক্তভোগী। যার জন্য অনেকেই ওষুধের উপর ভরসা রাখেন। কিন্তু তাতেও সমসময়ে লাভ হয় না।। 


গাড়িতে উঠলে  গা বমি, মাথা ঘোরানোর এই সমস্যাকে চিকিৎসা পরিভাষায় বলা হয় ‘মোশন সিকনেস’। আসলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ বিভিন্ন রকমভাবে গতি অনুভব করে। সেইসব অঙ্গ থেকে মস্তিষ্কে পৌঁছয় সংকেত। কিন্তু চলন্ত গাড়িতে বসে থাকাকালীন বিভিন্ন দিক থেকে আসা আলাদা সঙ্কেত পেয়ে মস্তিষ্কের স্নায়ু ধন্দে পড়ে যায়। আর মস্তিষ্ক কী করতে হবে বুঝে উঠতে না পারে না। তখনই মাথা ঘোরা, গা গোলানো, বমি বমি ভাবের মতো অস্বস্তি হতে থাকে। তাহলে কীভাবে এই সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন, জেনে নেওয়া যাক- 

আরও পড়ুনঃ মহিলারা 'ওইটা' ছাড়াই পুরুষদের চোখে বেশি আকর্ষণীয়! চমকে দেওয়া তথ্য উঠে এল গবেষণায়

*চলন্ত বাসে কিংবা গাড়িতে মাথা সোজা রেখে বসুন। অর্থাৎ মাথা বেশি দু'পাশে ঘোরাবেন না। বই পড়া, মোবাইলেও কাজ করবেন না। 
*দীর্ঘক্ষণের যাত্রাপথে আরামদায়ক পোশাক পরার চেষ্টা করুন। 
*মোশন সিকনেসে ভুগলে গাড়ির সামনের সিটে বসার চেষ্টা করুন। পিছনের দিকে বসলে সমস্যা বেশি হতে পারে।

*অস্বস্তি হলে বাস বা গাড়ির জানলা খুলে দিন। বাইরের হাওয়ায় শরীর অনেকটা ভাল লাগবে। 
*দীর্ঘক্ষণের যাত্রাপথের আগে তেল, মশলাযুক্ত ভারী খাবার ভরপেট খাবেন না। অন্তত ১ ঘণ্টা থেকে ৪৫ মিনিট আগে খাবার খান।

 

আরও পড়ুনঃ গাড়ির খুব ধীর গতি দ্রুত গতির চেয়েও মারাত্মক! মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে নয়া গবেষণায় উঠে এল চমকে দেওয়া তথ্য


*ভ্রমণের সময়ে সঙ্গে জোয়ান, লবঙ্গ সঙ্গে রাখতে পারেন। এগুলি খেলে খানিকটা স্বস্তি মিলতে পারে। গন্ধলেবুর পাতা রাখলে তার গন্ধ শুঁকতে পারেন। 
*বমি পেলে কিংবা মাথা ঘোরালে গাড়ির গতি আস্তে করার অনুরোধ করুন।