সকলের কাছে সৌন্দর্যের সংজ্ঞা এক নয়। মহিলারা কেউ মেকআপ করেন, কেউ বা গয়না পরে সুন্দর হয়ে উঠতে যান। কারওর আবার স্বাভাবিক সৌন্দর্য্যই বেশি পছন্দ। এককথায়, নিজেকে সুন্দর দেখতে কে না চান! তবে আধুনিক সমাজে মেকআপ এখন শুধু সৌন্দর্য বাড়ানোর কৌশল নয়, বরং আত্মবিশ্বাস ও ব্যক্তিত্ব প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম। বেশিরভাগ মহিলা ভাবেন তাঁরা হয়েতো সঠিকভাবে মেকআপ করলেই পুরুষদের চোখে আকর্ষণীয় হয়ে উঠবেন। বাস্তবে গবেষণা কিন্তু অন্য কথা বলছে। সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এসেছে, এক ভিন্ন চিত্র। যেখানে দেখা গেছে, পুরুষরা সাধারণত ভারী মেকআপের তুলনায় মহিলাদের কম মেকআপে বেশি পছন্দ করেন।
'কোয়ার্টারলি জার্নাল অফ এক্সপেরিমেন্টাল সাইকোলজি'-তে প্রকাশিত এক গবেষণায় অংশগ্রহণকারীরা মহিলাদের বিভিন্ন মেকআপ লুক দেখেন। তারপর ফলাফলে দেখা যায়, পুরুষ ও মহিলা উভয়েই মনে করেন হালকা মেকআপে কিংবা মেকআপ ছাড়া স্বাভাবিক লুকে মহিলারা সবচেয়ে বেশি সুন্দর দেখায়। অন্যদিকে, পারশেপশন জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষরা সাধারণত এমন লুককেই বেশি পছন্দ করেন যাতে স্বাস্থ্য, তারুণ্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রতিফলন রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ গাড়ির খুব ধীর গতি দ্রুত গতির চেয়েও মারাত্মক! মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে নয়া গবেষণায় উঠে এল চমকে দেওয়া তথ্য
আরও মজার বিষয় হল, মহিলারা প্রায়ই ভুলভাবে ধরে নেন যে পুরুষরা ভারী মেকআপকেই বেশি পছন্দ করে। কিন্তু বাস্তবে পুরুষদের পছন্দ হালকা সাজ বা ন্যাচারাল লুকের দিকেই বেশি ঝোঁক রয়েছে, এমন তথ্যও উঠে এসেছে গবেষণায়।
কেন কম মেকআপ আকর্ষণীয় মনে হয়? মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, এর পেছনে রয়েছে কয়েকটি কারণ। যেমন-
*প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রতিফলন: হালকা মেকআপ ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা, মুখের সামঞ্জস্য এবং সুস্থতা ফুটিয়ে তোলে।

*সামাজিক ধারণা: অতিরিক্ত মেকআপ অনেক সময় কৃত্রিমতা বা অতি যত্নশীল স্বভাবের ইঙ্গিত বহন করে।
*আত্মবিশ্বাসের ছাপ: প্রাকৃতিক সাজকে অনেক সময় আত্মবিশ্বাস ও স্বতঃস্ফূর্ততার প্রতীক হিসেবে ধরা হয়।
যদিও গবেষণা বলছে, পুরুষরা কম মেকআপকে বেশি আকর্ষণীয় মনে করেন, তবে সৌন্দর্য ও আকর্ষণের সংজ্ঞা সবসময়ই ব্যক্তিভেদে ভিন্ন। অনেক মহিলা শুধুমাত্র পুরুষদের দৃষ্টিভঙ্গি নয়, নিজের আত্মবিশ্বাস ও ব্যক্তিত্ব প্রকাশের জন্যও মেকআপ ব্যবহার করেন। তাই আপনি মেকআপ ব্যবহার করবেন কিনা তা একেবারেই আপনার ব্যক্তিগত পছন্দ। হালকা সাজ হোক বা গ্ল্যামারাস লুকে, সৌন্দর্য প্রকাশের মূল চাবিকাঠি হল নিজেকে নিজের মতো করে ভালবাসা।
