আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিশেষজ্ঞদের মতে, খাওয়া শুধুই শারীরিক চাহিদা নয়, এর সঙ্গে মনেরও যোগ রয়েছে। তাই তো পেটে খিদে না থাকলেও খাবার দেখলেই মনটা কেমন খাই খাই করে! যাকে চলতি কথায় বলে ‘চোখের খিদে’। বিশেষ করে মিষ্টি খাওয়ার প্রতি অনেকেরই ঝোঁক দেখা যায়। শেষপাতে হোক বা হালকা খিদে কিংবা মন খারাপ হলেই সঙ্গী মিষ্টি। কিন্তু এই প্রবণতা যে মোটেই স্বাভাবিক নয়। চিকিৎসকেরা বলেন, শরীরে বিশেষ কিছু পরিবর্তন এলেই আমাদের মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছে বাড়ে। জেনে নেওয়া যাক সেই বিষয়ে- 

১. বিভিন্ন হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে ঘুমের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বিশেষ করে লেপটিন নামক হরমোন শরীরে ঠিক কোন খাদ্য কতটা প্রয়োজন, কোন খাবার আর খেতে ইচ্ছে করছে না— এই ধরনের বিষয়ের ভারসাম্য রাখতে সাহায্য করে। আর পর্যাপ্ত না ঘুমালে এই ভারসাম্যই নষ্ট হয়ে যায়। ফলে মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে।

২. খুব বেশি উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপের কারণে কর্টিসল নামক হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। এই হরমোন ইনসুলিনের ভারসাম্যকে বিঘ্নিত করে। তখন ঘন ঘন মেজাজ পরিবর্তন হলে কিংবা খিদে না পেলেও মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে বেশি ইচ্ছে করে।

৩. প্রতিদিন শরীরে বেশি মাত্রায় কার্বোহাইড্রেট প্রবেশ করলে ইনসুলিনের ক্ষরণ বাড়ে। যার ফলে আরও বেশি কার্বোহাইড্রেট খাওয়ার ইচ্ছা হয়। আসলে কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবারকে পরিপাকতন্ত্র চিনিতে ভেঙে দেয়। যা রক্তের মাধ্যমে কোষে নিয়ে গিয়ে শক্তিতে রূপান্তরিত করে। ফলে মিষ্টি জাতীয় খাবারের প্রতি ঝোঁক তৈরি হয়। যদি মিষ্টির 'ক্রেভিং' হয়, তবে বুঝবেন আপনার শরীরে প্রোটিন দরকার। কারণ প্রোটিনের ঘাটতি হলেও কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারের প্রতি ঝোঁক বাড়ে।

৪. শরীরে জলের অভাব হলে নানা ধরনের সমস্যা দেয়। ডিহাইড্রেশন থেকেও মিষ্টি খাওয়ার ঝোঁক বেড়ে যেতে পারে। তাই সারাদিন পর্যাপ্ত জল খাওয়া জরুরি।

৫. শরীরে ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্রোমিয়াম ইত্যাদি খনিজের অভাব ঘটলেও মিষ্টি দেখলেই খেতে ইচ্ছে করে।