আজকাল ওয়েবডেস্কঃ ভারতে প্রচলিত বিশ্বাসের অঙ্গ নজর লাগা অথবা কুনজর লেগে যাওয়া। যাকে ‘ইভিল আই’-ও বলা হয়। তবে এ তো গেল প্রচলিত বিশ্বাসের কথা! কিন্তু নীল রঙের চ্যাপটা আকৃতির চোখের মতো দেখতে একটি বস্তু নাকি ‘ইভিল আই’। ইদানীং হাতের ব্রেসলেট থেকে গলার লকেট, এমনকী ঘর সাজানোর সরঞ্জাম হিসাবেও যার জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। কিন্তু কী এই বস্তু? সত্যিই কি কুনজর থেকে বাঁচায় ‘ইভিল আই’?
তারকা থেকে আমজনতা, সকলেই এখন এককথায় মজেছেন এই ‘ইভিল আই’-এ। বিগত দিনে সমাজ মাধ্যমে ‘হ্যাশট্যাগ ইভিল আই’ ব্যবহারের অঙ্ক ক্রমশ বেড়েই চলেছে। ঘন নীল রঙের, গোলাকার কাচের সেই বস্তুর মাঝখানটা দেখতে অনেকটা চোখের মতো। তবে যতই ফ্যাশনেবল দেখতে মনে হোক না কেন, এর পিছনে রয়েছে বাস্তুশাস্ত্রের ব্যাখ্যা।
মূলত অন্য কারওর নজর যাতে না লাগে, তা নিশ্চিত করাই এই ‘ইভিল আই’-এর কাজ। কথিত রয়েছে, ইভিল আই পরলে নাকি মন শান্ত হয়। যে কোনও রকমের নেতিবাচক মনোভাবের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং ইতিবাচক চিন্তাধারা থাকে। বাস্তুশাস্ত্র বলছে, ইভিল আই ঘরে ঝোলালে সেই ঘরে অশুভ শক্তি আসতে পারে না। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সম্পর্ক অটুট থাকে। আবার গয়না হিসাবে ইভিল আই পরলে কুনজর থেকে রক্ষা পাওয়া যায়, শারীর-স্বাস্থ্য থাকে চাঙ্গা। শুধু তাই নয়, ভাগ্যের হাল ফেরাতেও ইভিল আই সাহায্য করে বলে প্রচলিত বিশ্বাস।
যদিও ভারতীয় জ্যোতিষশাস্ত্র তথা হিন্দুধর্ম মেনে নজর সুরক্ষা কবচের ব্যবহার নতুন নয়। কালো তিলক লাগানো থেকে লেবু-লঙ্কা ঝোলানো, শুকনো লঙ্কা পোড়ানো, লাল-কালো সুতো বাঁধা অথবা তাবিজ বাঁধা-এসবই এদেশে প্রচলিত রয়েছে। ‘ইভিল আই’ আসলে কয়েক হাজার বছরেরও বেশি পুরোনো একটি ধারণা। শোনা যায়, এটিকে বিশ্বের সবথেকে পুরনো কুসংস্কার বলে গণ্য করা হয়। এমনকী গ্রিক এবং রোমান পাণ্ডুলিপিতেও এর উল্লেখ রয়েছে। সেই বিশ্বাসই পরে ছড়িয়ে পড়েছিল পশ্চিম এশিয়া, পশ্চিম আফ্রিকা, মধ্য আমেরিকা ও মেক্সিকো, মধ্য এশিয়া এবং ইউরোপের বিস্তীর্ণ অংশ বিশেষ করে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে।
