আজকাল ওয়েবডেস্ক: ‘বিয়ে করছ কবে?’ একটা নির্দিষ্ট বয়স পেরলেই তিরের মতো আসতে থাকে এই প্রশ্ন। শুনতে সোজা হলেও উত্তর দেওয়া বেশ কঠিন। ‘একটু গুছিয়ে নিই’, ‘আরে বয়স তো এখনো আছে’ এমনই নানা উপায়ে উত্তর এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলে। কিন্তু আসলে বিয়ের সঠিক বয়স কত? ২০, ৩০ নাকি ৪০ কোন বয়সে বিয়ে করলে সুখী হবেন?
বিয়ের সঙ্গে শুধু বয়স নয়, জড়িয়ে থাকে আরও অনেক বিষয়। যিনি বিয়ে করছেন, সেই বর বা কনে শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুত কিনা, আগামী দিনে জীবনের বড় দায়িত্ব পালনের জন্য নিজেকে উপযুক্ত ভাবছেন কি না-এমন অনেক বিষয় বিয়ের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বছর কুড়ির দোরগোড়ায় বিয়ে করার আলাদা অভিজ্ঞতা হতে পারে। বিশেষ করে তরুণ-তরুণীদের মধ্যে বোঝাপড়া, পারষ্পরিক শ্রদ্ধা, মূল্যবোধ থাকলে এই বয়সে বিয়ে মন্দ নয়। অল্প বয়সে বিয়ে করলে একসঙ্গে জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে অনেকটা পথ চলতে পারা যায়। তবে এই সময়ে নিজের পরিচিতি, কেরিয়ার গড়েন সকলে। বর-কনে উভয়কেই জীবনে বিভিন্ন পরিবর্তন এবং বহু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। ২০ বছরের আশেপাশেই আত্মসচেতনতা, আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলার সময়ও। তাই দম্পতির মধ্যে একে অপরের যে কোনও পরিবর্তনকেই স্বাচ্ছন্দ্যে গ্রহণ করার মানসিকতা থাকতে হবে। তাই বিয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত বেশ বুঝেশুনে নিতে হয়।
সাধারণত ৩০ কিংবা ৪০ পেরিয়ে গেলে বিয়ের জন্য খানিকটা চাপ থাকে। তবে দেরিতে বিয়ের অনেক সুবিধাও রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ৩০-৪০ বছর বয়সে অনেকেরই নিজের মূল্যবোধ, লক্ষ্যর স্পষ্ট ধারণা থাকে। যা সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে সাহায্য করে। একইসঙ্গে দম্পতিরা এই বয়সে মানসিক ও আর্থিকভাবে অনেকটাই স্থিতিশীল হন, যা বৈবাহিক জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
