আজকাল ওয়েবডেস্ক: বয়সের সঙ্গে সঙ্গে দেহে বাহ্যিক পরিবর্তন আসা স্বাভাবিক। প্রকৃতির নিয়মেই ত্বকের আঁটসাঁট ভাব ক্রমশ আলগা হয়, ঔজ্জ্বল্য কমে যায়। কিন্তু বলিপাড়ার অভিনেত্রীরা যেন ব্যতিক্রম। করিনা থেকে মালাইকা প্রৌঢ়ত্বের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়েও ত্বকের জেল্লা ধরে রেখেছেন বহু নায়িকাই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন কাজটা কঠিন, তবে অসম্ভব নয়। বিশেষত নিয়ম মেনে খাওয়াদাওয়া করতে পারলে অনেকটাই কমানো যায় ত্বকের বয়স।
পুষ্টিবিদদের কথায়, ত্বকের অন্যতম পুষ্টি হল কোলাজেন। এই পুষ্টির গুণেই সতেজ থাকে ত্বক। বয়স বাড়লে এই উপাদানটির মাত্রা ক্রমশ কমতে থাকে। তাই বয়স ধরে রাখতে গেলে খেতে হবে এমন কয়েকটি খাবার যা শরীরে কোলাজেনের ভারসাম্য বজায় রাখে।
সাইট্রাস গোত্রের অর্থাৎ লেবু জাতীয় কিছু ফল ত্বকের খেয়াল রাখতে খুবই উপযোগী। বিশেষ করে যে সব ফলে ভিটামিন সি আছে, তা বেশি করে খাওয়া জরুরি। কমলালেবু, আঙুরে ভিটামিন সি-র পরিমাণ বেশি। এই ভিটামিন কোলাজেন উৎপাদন করে। ফলে ত্বকের জেল্লা ধরে রাখতে এই ফলগুলি বেশি করে খেতে হবে।
শরীরে কোলাজেন উৎপাদন করতে জিঙ্কেরও ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জিঙ্ক কোলাজেন প্রোটিন ধ্বংস হতে দেয় না। শরীরে জিঙ্কের পর্যাপ্ত জোগান দিতে খাদ্যতালিকায় কুমড়োর বীজ, কাজুবাদাম, দুগ্ধজাত খাবার বেশি করে রাখতে পারেন। পাতে রাখতে পারেন বেলপেপারও। লাল, হলুদ বেলপেপারে ভিটামিন সি আছে ভরপুর পরিমাণে। এ ছাড়াও রয়েছে ক্যারোটিনয়েড, যা কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে।
এ বার আসা যাক আমিষে। কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। এই ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড সাধারণত সামুদ্রিক মাছে থাকে। ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বক ভিতর থেকে টানটান রাখে। রোজ না হলেও সামুদ্রিক মাছ মাঝেমাঝে খাওয়া গেলে ত্বক জেল্লাদার হবে। সামুদ্রিক মাছ সর্বত্র না পাওয়া গেলে তার বদলে ডিম খাওয়া যেতে পারে। ডিম যেমন একদিকে কোলাজেন উৎপাদন করে। তেমনই অন্য দিকে ডিমে থাকে বায়োটিন, যা ত্বক টানটান রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
