আজকাল ওয়েব ডেস্ক: সকালে কাজের ব্যস্ততায় শরীরের প্রয়োজনীয় নির্দিষ্ট পরিমাণ জল খেতে পারেন না। সারাদিনে সেই চাহিদা আদৌও পূরণ হয় না।মাঝে কয়েক বার তেলেভাজা,রোল বা চাউমিন দিয়ে পেট ভরানো হয়। সঙ্গে দোসর অতিরিক্ত মদ্যপান ও ধূমপান। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও কর্মব্যস্ততার কারণে শরীরের দিকে খেয়াল না রাখা এখন জীবনের সঙ্গী।
এই সবের পরিনাম হিসেবে লিভারের বারোটা বেজে যায়। অজান্তেই দিনভর কিছু ভুল অভ্যাসে আপনার শরীরে বড় অসুখ বাসা বাঁধছে না তো?
নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষা করানো নিয়ে অনিহা থাকায় গোপনে তা মারাত্মক আকার নিচ্ছে ।এসব ভুলে প্রধানত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আপনার লিভার। মনে রাখবেন,একটি অসুস্থ লিভার শরীরে ট্রাইগ্লিসারাইড তৈরি করে রক্তে কোলেস্টেরল ও ডায়বেটিসের মাত্রাকে বাড়িয়ে দেয়।
ঘুম থেকে উঠে সকালে খালি পেটে পরিমিত জল না খেলে লিভারের উপর চাপ পড়ে। লিভার অপ্রয়োজনীয় টক্সিন বের করতে পারে না এবং শরীর ডিহাইড্রেট হয়ে যায়। তাই প্রতিদিন সাত থেকে আট গ্লাস জল খেলে লিভার প্রয়োজনীয় টক্সিন বের করে দেয় ও লিভার থাকে সুস্থ।
ব্রেকফাস্টে ক্যাফেইন ও অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবারকে বাদ দিন।এই ধরনের খাবার দিয়ে দিন শুরু করলে নন্-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার হবার আশঙ্কা থাকে।এসবের বদলে টাটকা ও মরশুমি শাকসবজির স্যালাড ও ফল,হোল গ্ৰেইন ব্রেড,গ্ৰিনটি খেতে পারেন।তাতে লিভারে ফ্যাট জমবে না এবং লিভার সুস্থ থাকলে সারাদিন থাকবেন চনমনে।
শরীরচর্চার ক্ষেত্রেও কিছু ভুলভ্রান্তির থেকে আমাদের লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সকালে লাফদড়ি বা খুব ভারী ব্যায়াম কখনই করা উচিত নয়।এতে লিভারের ওপর খারাপ প্রভাব পড়ে। কার্যক্ষমতা কমে গিয়ে শরীরের বর্জ্য পদার্থ সঠিক পরিমাণে বেরোতে পারে না। প্রতিদিন নিয়ম করে পরিমিত ব্যায়াম রক্ত চলাচলকে স্বাভাবিক রাখে ও ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
তাছাড়া অনেকেরই অতিরিক্ত সোডাযুক্ত পানীয়, নরম পানীয় এবং মদ্যপানের খাওয়ার অভ্যাস থাকে। এই অভ্যাসও লিভারের জন্য সাংঘাতিক বিপদ ডেকে আনে। মদ্যপান ও ধূমপান ছেড়ে আপনার লিভারকে সুস্থ রাখতে সজাগ হন। লিভারের অসুখে যেকোনও লক্ষন দেখা দিল দেরি না করে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
