আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভালবাসার বাঁধন যে এভাবে গলার ফাঁস হয়ে উঠবে, সম্পর্কে যাওয়ার আগে ভাবতেই পারেননি তরুণী। প্রথম প্রথম মনে হত তাঁর প্রতি প্রেমিকের বিভিন্ন আজগুবি দাবি অত্যধিক ভালবাসার প্রকাশ। কিন্তু সেই ধারণা ভাঙতে সময় লাগেনি হ্যানা মেলরের। যা এতদিন প্রেমের প্রকাশ মনে হচ্ছিল, দেখা গেল তা আসলে তাঁকে নিয়ন্ত্রণ করার কৌশল। শেষ পর্যন্ত প্রেমিকের এহেন আচরণ সইতে না পেরে পুলিশের দ্বারস্থ হন তরুণী। আর তার পরই শ্রীঘর দর্শন হয়েছে প্রেমিক প্রবরের।

ঘটনার সূত্রপাত ২০২১ সালে। তখন বেন ফিটন নামের এক তরুণের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ব্রিটেনের ম্যানচেস্টারের অধিবাসী হ্যানা। একদিন হ্যানা মজা করেই সমাজমাধ্যমে লেখেন যে ফিটনের নাসিকাগর্জনের কারণে রাতে ঠিক মতো ঘুমাতে পারেন না তিনি। আর এই পোস্ট দেখেই চোটে যান বেন। শুরু করেন হেনস্থা। কিছুদিন পর অবশ্য ক্ষমা চেয়ে বেন জানান, তিনি রাগের মাথায় খারাপ ব্যবহার করেছেন। আর কোনও দিন এমন করবেন না। বলা বাহুল্য কথা রাখেননি বেন। উল্টে বাড়তে থাকে হেনস্থা ও শারীরিক নির্যাতন। 

হ্যানা জানিয়েছেন, বেন এতোই সন্দেহপ্রবণ হয়ে পড়েন যে তাঁকে স্নান করতে ও দাঁত মাজতে বারণ করে দেন। নিষেধ করেন মেক আপ করতেও। বেনের দাবি ছিল, মুখ ও শরীরে দুর্গন্ধ থাকলে কোনও পুরুষ হ্যানার প্রতি আকৃষ্ট হবেন না। এখানেই থেমে থাকেননি বেন। নিয়মিত শারীরিক নির্যাতনও করতে শুরু করেন হ্যানাকে। শেষ পর্যন্ত আইনের দ্বারস্থ হতে হয় হ্যানাকে। মামলা শোনার পর বেনকে ১৮ বছরের কারাবাসের শাস্তি শুনিয়েছে ম্যানচেস্টারের একটি আদালত।