আজকাল ওয়েব ডেস্ক: ফ্ল্যাট বাড়ির জমানায় মনের ইচ্ছে মতো রং বেরঙের ফুল, ফলের গাছ লাগানো এখন একপ্রকার বিলাসিতা। ছোট্ট এক চিলতে বারান্দাই এখন শখ পূরণের উপায়।সবুজের ছোঁয়ায় আমাদের মন স্নিগ্ধ হয়। তাই সবুজকে নিজের কাছাকাছি রাখতে বাড়ির অন্দরসজ্জায় গাছের ব্যবহার করি। ‘ইনডোর প্ল্যান্ট’ বাড়িকে সুন্দর করে সবুজ দিয়ে সাজানোর জন্য এখনকার সময় একমাত্র সমাধান।যা বাড়ির ভিতরের অন্দরসজ্জ্বাকে আলাদাই মাত্রা এনে দেয়।
তবে গাছ লাগিয়ে তার উপযুক্ত যত্ন না করলে সেই গাছ বেশিদিন বাঁচতে পারে না। শুধুমাত্র সার আর জল দিলেই হবে না, খেয়াল রাখতে হয় পিঁপড়ে ও পোকামাকড়ের আক্রমণ হয়েছে কিনা। অনেকের ধারণা বাড়ির ভিতরে থাকে বলে রোজ জল দেওয়ারও প্রয়োজন নেই।
এমন অনেক কীটপতঙ্গ আছে, যারা গাছের উপর আক্রমণ করে। ফলে সাধের গাছগুলি অকালেই মরে যায়।এমনি গাছের তুলনায় ইন্ডোর প্ল্যান্টের যত্ন করতে লাগে বেশি। তাই ঘরে থাকা গাছের যত্ন নিতে কিছু বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখুন।
ঘরে আছে বলে নিয়মিত জল দেবেন না, তা কিন্তু নয়। রোজ অল্প করে জল দিন। তবে নজর রাখবেন পাত্রে যেন জল জমে না থাকে। গাছের টবে পোকামাকড় না আসে। কাঁচা দুধের মধ্যে কিছুটা হলুদ মিশিয়ে গাছের গোড়ায় দিয়ে দিন এতে, পোকামাকড় হবে না।
এসির নিচে রাখবেন না গাছ। চেষ্টা করুন গাছ রাখার জায়গাটা এসির ঠাণ্ডা হাওয়া থেকে দূরেই রাখুন।এতে গাছ ঠিকঠাক বাড়বে।
অল্প আলো বা বেশি আলোতেও গাছ রাখা যায় না।ইন্ডোর প্লান্টটি এমন জায়গায় রাখুন,যাতে হালকা আলো সব সময় পেতে পারে।
খেয়াল রাখতে হবে যে আপনার ইন্ডোর প্ল্যান্টে পোকামাকড়ের উপদ্রব হয়েছে কিনা।কীটপতঙ্গ প্রতিরোধক হিসেবে নিম পাতার ব্যবহার করা যায়।এই ভেষজটির তিক্ত স্বাদ এবং তীব্র গন্ধ গাছপালা থেকে পোকামাকড় দূরে রাখতে পারে। নিমপাতা শুকিয়ে গুঁড়ো করে তা গাছের গোড়ায় দিয়ে রাখুন।বা রাতে নিম পাতা জলে ভিজিয়ে রাখুন এবং পরের দিন সকালে সেই জল গাছে ছিটিয়ে দিন। গাছকে কীটপতঙ্গ থেকে বাঁচাতে নিমের তেলও ব্যবহার করতে পারেন। একটি পাত্রে তরল সাবান এবং উষ্ণ জল নিয়ে তাতে সামান্য নিম তেল ভাল করে করে মিশিয়ে নিন। এটি একটি স্প্রে-বোতলে ভরে ব্যবহার করুন। নিম তেলের পরিবর্তে ইউক্যালিপটাস তেল ও নুন ও ব্যবহার করতে পারেন গাছের পোকামাকড় দূর করতে।
