আজকাল ওয়েব ডেস্কঃ বাড়ির সবাই মিলে একসাথে বাচ্চার জেদের বিরোধিতা করুন। এটা একান্তই জরুরি। প্রয়োজনে অভিভাবকেরা মিলে আগে এ বিষয়ে আলোচনা করুন।
বাচ্চার মুখে কোন অশালীন কথা শুনলেই তাকে বারণ করুন।প্রয়োজনে বেশ কিছুক্ষণ ওর সাথে সবাই কথা বন্ধ করে দিন শাস্তি হিসেবে। কিছু সময় এই ধরণের শাস্তি তার ভালর জন্যই করতে হবে।
ওদের ব্যস্ত রাখুন।বিভিন্ন ধরনের অ্যাক্টিভিতে ভর্তি করুন।সাঁতার, আঁকা, গান ব্যায়াম, এসব করলে ওর শরীর ও মন দুটোই ভাল থাকবে।সারাদিনে কোনভাবেই ১ ঘন্টার বেশী টিভি দেখতে দেবেন না। ওদের সামনে নিজেরাও বড়দের সিরিয়াল দেখা বন্ধ করুন।
একই কথা বারবার বললে বাচ্চারা বিরক্ত হয়, তাই দৃঢ়ভাবে একবারই নির্দেশ দিন।উত্তেজিত হয়ে মারধর করবেন না।ওদের জন্য একটি সময় বরাদ্দ রাখুন, যাতে নিজের মতন করে ওরা সময় কাটাতে পারে।তবে সেখানে টিভি বা স্মার্ট ফোনের অনুপ্রবেশ কিন্তু চলবেনা।
বাড়ীতে শান্তিপূর্ণ আবহাওয়া রাখার চেষ্টা করুন সবসময়। ঝগড়া অশান্তি কান্নাকাটি বাচ্চাদের মনকে অসহায় ও বিচলিত করে দেয়।তাই এইসব ব্যাপারে সাবধান থাকবেন।
শিশু যখনই কান্নাকাটি শুরু করবে, কোনও কিছুর জন্য জেদ করবে তখন তাকে বকাবকি না করে অন্য পরিবেশে নিয়ে যান।গল্পের বই পড়তে দিন বা ছবি আঁকতে দিন। আপনিও গল্প বলুন।গল্পের মধ্যে দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করুন।
বাচ্চাদের রোল মডেল কিন্তু আপনারাই।তাই কোনভাবেই নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি মূল্যবোধ এবং সততা থেকে সরে যাবেন না।অভিভাবকের দেখাদেখি বাচ্চারা অনেক কিছু শিখে থাকে।তারা যদি মা-বাবাকে কারও সঙ্গে কঠোর ভাবে কথা বলতে দেখে অথবা নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করতে দেখে, তাহলে সেটাই রপ্ত করে নেবে।তারপর অজান্তেই তাদের আচরণে এমন ব্যবহারের প্রতিফলন দেখা দেবে। মা-বাবার সঙ্গে তর্ক করবে।তাই সন্তানের সামনে নিজেদের আচার-ব্যবহার নিয়েও সতর্ক থাকতে হবে।
তবেই ওরা সুন্দরভাবে বড়ো হয়ে উঠবে।
