আজকাল ওয়েব ডেস্ক: হাতে রয়েছে আর মাত্র ক'দিন। তারপরেই পুজো। কিন্তু বর্ষা যেন চলে গিয়েও যাওয়ার নাম করছে না। শুধু তাই নয়, সঙ্গে করে নিয়ে আসছে তার দোসর, নিম্নচাপ। ওদিকে গরম থেকেও রেহাই নেই। এদিকে বৃষ্টি কমলেই আবার ঘেমে নেয়ে সবার অবস্থা করুণ।এই গরম আর বৃষ্টির মাঝে নানা ধরনের ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার বাড়বাড়ন্ত। আট থেকে আশি ভুগছেন সকলেই।কারোর ধুম জ্বর তো কারোর ঠান্ডা লেগে নাক বুজে দমবন্ধ হওয়ার জোগাড়। না ঘুমিয়ে শান্তি, না জেগে। অনর্গল নাক দিয়ে গড়াচ্ছে জল। এই অস্বস্থিকর অবস্থায় কী করবেন ভেবে পান না অনেকেই।
এই অবস্থায় প্রথমেই ওষুধ ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। তার বদলে চিকিৎসকেরা ভেপার নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। জল ভাল করে ফুটিয়ে নিন। টাওয়েল বা কাপড় মাথায় জড়িয়ে গরম জল থেকে ওঠা ধোঁয়া নাক এবং মুখ দিয়ে টানতে থাকুন। এ ভাবে ১০ থেকে ১৫ মিনিট করে দিনে ৩ বার ভেপার নিন। তাহলেই বন্ধ নাক ছেড়ে যাবে। ভেপারে কমে সাইনাসের ব্যথাও। এমনকী খুসখুসে কাশি ও গলায় ব্যথা থাকলে তা কমে শান্তি পাবেন। তবে জ্বর ও তার এক-দু'দিনের মধ্যে কাশি শুরু হলে বুঝতে হবে ভাইরাল ইনফেকশন হয়েছে। অধিকাংশই মানুষই ঠান্ডা লাগা ভেবে এগুলোকে অবহেলা করেন। যার পরিণতি কিন্তু মারাত্মক হতে পারে।
নাক দিয়ে জল পড়লে বা বন্ধ নাক বুজে গেলে স্যালাইন নেজাল ড্রপ ব্যবহার করা উচিত। এতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনও স্টেরয়েড জাতীয় ড্রপ দেবেন না।
সাধারণ সর্দি এবং কাশির ক্ষেত্রে আরও একটি কার্যকরী ঘরোয়া প্রতিকার হল লেবু, দারচিনি এবং মধুর মিশ্রণ। এটি সর্দি এবং কাশি নিরাময় করে। আধ চামচ মধুতে কয়েক ফোঁটা লেবু এবং অল্প একটু দারচিনি মেশান। সর্দি-কাশি সারাতে এটি দিনে দু’বার খান। বয়স্ক অনেক মানুষই এখনও ঠান্ডা লাগার প্রতিকার হিসেবে নামি সংস্থার বাজারচলতি ওষুধের চেয়ে এই মিশ্রণের উপরেই ভরসা রাখেন। এই উপকরণগুলো জলে ফুটিয়ে চা এর মতো পান করতে পারেন। এই পানীয় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে আপনার ঠান্ডা লাগার ধাতকে কম করবে অনেকটাই। তবে সাধারণ সর্দি কাশির সঙ্গে জ্বরের প্রকোপ বাড়লে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হয়েছে ধরে নিতে হবে।সেই ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে দেরি করবেন না।
তা ছাড়া প্রতিদিন মরশুমি শাক, সবজি, ফল খান। এই ধরনের খাবারে উপস্থিত ভিটামিন,আয়রন এবং অ্যান্টিঅক্সিইড্যান্ট ইমিউনিটি বাড়ায়। যার দরুণ যে কোনও শারীরিক সমস্যার থেকে দ্রুত সেরে ওঠা যায়।
