আজকাল ওয়েব ডেস্কঃ নবরাত্রি হিন্দুদের উৎসবগুলোর মধ্যে সবচেয়ে শুভ অনুষ্ঠান। নয় রাত ধরে চলে পুজোর এই রীতি। দেবী দুর্গা এবং তার বিভিন্ন রূপের উপাসনার জন্য এই পুজো করা হয়। অবাঙালিদের সঙ্গে এখন বাঙালিদেরও এই উৎসবে সামিল হতে দেখা যায়।
নবরাত্রির সময় লোকেরা উপোস করেন। এই উপোসের রয়েছে কিছু আধ্যাত্মিক এবং শারীরিক সুস্থতার তাৎপর্য। যারা নবরাত্রির উপোস করেন, তারা সাধারণত এই নয়দিন কোন আমিষ পদ এমনকি ভাতও খান না।
তাই সকালের ব্রেকফাস্ট হতে হবে জম্পেশ। নবরাত্রির উপোস করলেও এনার্জির কমতি হবে না এমন স্মুদি বাড়িতে তৈরি করুন। এতে আপনার পেট অনেকক্ষণ ভরে থাকবে এবং সারাদিন নিশ্চিন্তে পুজোর কাজও করতে পারেন।
এক কাপ মাখানাকে ফ্রাইপ্যানে হালকা আঁচে ভাজুন। ঠান্ডা হলে একটি পাত্রে ঢেলে রাখুন। পাঁচ ছয়টি খেজুরের বীজ ফেলে দিয়ে মাখানার সঙ্গে দিন। দু'চামচ চিয়া সিড, কয়েকটি কাজুবাদাম ও আমন্ড দিতে হবে। দু'কাপ গরম দুধ দিয়ে এক ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। ভিজে গেলে গ্ৰাইন্ডারে সম্পূর্ণ উপকরণগুলো দিয়ে দিন। এক চামচ মধু ও একটি কলাকে স্লাইস করে দিন। স্মুদি ঠান্ডা খেতে চাইলে কয়েক টুকরো বরফ দিতে পারেন।
সকালে এই এক গ্লাস ঠাণ্ডা স্মুদি খেলে নবরাত্রির উপোসে শরীর ও মন সব চনমনে থাকবে।
মাখানা হলো উচ্চ প্রোটিনযুক্ত, গ্লুটেন মুক্ত খাবার। তাই যাদের গ্লুটেন থেকে অ্যালার্জি আছে, তাদের জন্য মাখানা খাওয়া উপকারী।
মাখানায় প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে, যা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। ম্যাগনেসিয়ামের উপস্থিতির কারণে হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য এটি ভীষণ ভালো। ক্যালসিয়াম যা হাড়ের ঘনত্ব এবং শক্তি বাড়ায়। ফাইবার থাকে, ফলে সহজেই হজম করাতে সাহায্য করে।
শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ করতে চিয়া বীজ সিদ্ধহস্ত। এই বীজের মধ্যে থাকা খনিজ ইলেক্ট্রোলাইটের সমতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, চিয়া বীজের মধ্যে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং উচ্চমানের ফাইবার। যা বিপাকহার বাড়িয়ে তুলতেও সাহায্য করে। তাই উপোস করলেও আপনার শরীরের এনার্জি বজায় থাকবে এই স্মুদি খেলে।
