আজকাল ওয়েবডেস্কঃ ইদানিং বয়সের সঙ্গে হাঁটু ব্যথা ও কোমরে ব্যথার কোনও সম্পর্ক নেই। এই ধরণের নানা সমস্যা ভোগাতে শুরু করে অনেক কম বয়স থেকেই। বার্ধক্যের সময় বিষয়টি একটু গুরুতর হয়ে যায়। বিভিন্ন ওষুধ, ডাক্তার করেও কিছু হয় না। কম বয়সেই এই ব্যথা-যন্ত্রণা হানা দিতে শুরু করে। বিশেষ করে সারা দিন অফিসেই বসে কেটে যায়। শরীরচর্চার অভাব, কম্পিউটারে মুখ গুঁজে কাজ করা— সব মিলিয়ে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পিঠ, কোমর, হাঁটুতে ব্যথা। তবে হাঁটুতে ব্যথা করছে বলেই রোজ চিকিৎসকের কাছে ছুটতে হবে, তা নয়। সব সময় যে ব্যথার ওষুধ খেতে হবে, সেটাও ঠিক নয়। তাতে আবার অন্য অনেক শারীরিক সমস্যা দেখা দেবে। তার চেয়ে বরং ঘরোয়া উপায়ে ব্যথা-বেদনা কমানোর চেষ্টা করাই শ্রেয়। তাই জেনে নিন প্রাকৃতিক এই পেইনকিলারের টোটকা যা আপনার শরীরের ব্যথাকে দূর করবে নিমেষেই।

একটি পাত্রে এক চামচ করে আদার পাউডার, দারচিনি গুঁড়ো ও হলুদগুঁড়ো নিন। সঙ্গে হাফ চামচ গোলমরিচগুঁড়ো দিন। সমস্ত গুঁড়োকে মিশিয়ে নিন। দু'চামচ দেশি ঘি দিয়ে গুঁড়োর মিশ্রণটিকে একটি পেষ্টের আকারে তৈরি করে নিন। ফেলে দেওয়া বা শেষ হয়ে যাওয়া ওষুধের পাতায় এক চামচ করে এই মিশ্রণ ওষুধের জায়গায় ঢেলে দিন। ৬-৭ ঘন্টা ফ্রিজে রাখুন। বের করে নিলে দেখবেন ট্যাবলেটের আকারে তৈরি হয়ে গেছে। রোজ রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস উষ্ণ গরম দুধের সঙ্গে একটি ট্যাবলেট দিয়ে খেয়ে ঘুমোতে যান। আপনার শরীরের সমস্ত ব্যথা বেদনা নিমেষেই দূর হবে। 

ব্যথা থেকে রেহাই পেতে দারচিনি অনবদ্য। তাছাড়া গলাব্যথাতেও দুর্দান্ত কাজ দেয় এই মশলা। বিভিন্ন ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে। দারচিনিতে রয়েছে আশ্চর্য ভেষজ গুণ। সুগন্ধি এই মশলাটির একাধিক উপকারিতা রয়েছে। হলুদে রয়েছে কারকুমিন নামে এক ধরনের উপাদান। হলুদের উপকারিতা অনেকটাই নির্ভর করে এই কারকুমিনের ওপর। কিন্তু কারকুমিন নিজে থেকে শরীরে ভালভাবে মিশতে পারে না। যা গোলমরিচের সঙ্গে খেলে কারকুমিন পুরোপুরি শরীরে মিশে যায়। শরীরের একাধিক অসুখ-বিসুখের মোকাবিলা করতে রান্নার এই দুই উপকরণ রীতিমত ম্যাজিকের মতো কাজ করতে পারে। ব্যথা-বেদনা সারাতে বহুকাল ধরে হলুদব্যবহার করা হয়। আসলে শরীরকে ভিতর থেকে সারিয়ে তোলে হলুদ। তার সঙ্গে গোলমরিচ যুক্ত করলে আরও তাড়াতাড়ি কাজ হয়। গোলমরিচের মধ্যে থাকা পাইপারিন কোষকে সক্রিয় করে তোলে। দীর্ঘদিনের ব্যথা বা নার্ভ সংক্রান্ত যন্ত্রণাও সারিয়ে দেয় এই দুই মশলা। আয়ুর্বেদে আর্থারাইটিসের যন্ত্রণা কমাতে হলুদের ব্যবহারের উল্লেখ রয়েছে।