আজকাল ওয়েবডেস্কঃ মুখের অতিরিক্ত তেল, র্যাশ ও ব্রণর সমস্যা নিয়ে নাজেহাল হতে হয় অনেককেই। আবার চোখের তলায় কালচে দাগ, মধ্যবয়সে পৌঁছতেই বলিরেখা কিংবা জেল্লা হারানোর সমস্যা জাঁকিয়ে বসে। ত্বকের সমস্যা, বয়স অনুযায়ী সে সবের সমাধানও আলাদা হওয়ার কথা। আবার শীতে শুষ্ক ত্বকের সমস্যাও প্রচুর। তবে এই বিষয়ে একাই একশো হল চিয়া বীজ। শরীরচর্চা করেন যাঁরা, তাঁদের কাছে এই বীজ বেশ জনপ্রিয়। ওজন ঝরাতে, বিপাকহার ভাল রাখতে চিয়ার জুড়ি মেলা ভার। পাশাপাশি, ত্বকের যত্নেও কাজে আসে চিয়া বীজ। তাই দাম দিয়ে নানা রকম প্রসাধনী না কিনে ব্যবহার করে দেখতেই পারেন ভেজানো চিয়া বীজের এই ঘরোয়া ফেস প্যাক।
ব্লেন্ডারে ২-৩ চামচ ভেজানো চিয়া সিড নিন। সামান্য দুধ দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। একটি পাত্রে ব্লেন্ড করা চিয়া বীজ ঢেলে দিন। সঙ্গে এক চামচ মধু দিন। সবশেষে গ্ৰেট করে নেওয়া একটি বীট থেকে রস বের করে এক চামচ বিটের রস দিন। সমস্ত উপকরণগুলো ভাল মতো মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। মনে রাখবেন, শুষ্ক ত্বকের পরিবর্তে তৈলাক্ত ত্বক হলে দুধের বদলে চিয়া সিডকে গোলাপ জল দিয়ে ব্লেন্ড করতে হবে। স্নানের আগে মুখে মেখে নিন এই ফেস প্যাক। শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
চিয়া বীজে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান। যা ত্বকের প্রদাহজনিত সমস্যাগুলি দূর করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে যাদের ত্বক ভীষণ স্পর্শকাতর ও শুষ্ক, মুখে ব্রণর উৎপাত বেশি— তারা এই বীজ ভেজানো জলও মাখতে পারেন। খেলেও উপকার পাবেন।
ভিটামিন ই, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর চিয়া বীজ ত্বককে পরিবেশগত দূষণ, ফ্রি র্যাডিক্যালের হাত থেকে রক্ষা করে। ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখার পাশাপাশি, চিয়া বীজ মুখে বয়সের ছাপ পড়াও আটকে দিতে পারে।
ত্বক স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করে তুলতে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের ভূমিকা রয়েছে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের একটি প্রাকৃতিক উৎস হল চিয়া বীজ। বয়স বাড়লেও ত্বকের টান টান ভাব ধরে রাখতে সাহায্য করে এই উপাদানটি।
