আজকাল ওয়েব ডেস্ক: ধূমপান বেশি করুন বা কম, তার প্রভাব শরীরের উপর পড়বেই। রোজ সিগারেট অভ্যাসের বশে অগুন্তি খেয়ে যান অনেকেই। নিকোটিন তিলে তিলে ক্ষতি করে শরীরের। সাময়িকভাবে তা বোঝা যায় না। কিন্তু যত দিন যায়, প্রকাশ পেতে থাকে ধূমপানের ক্ষতিকর প্রভাবগুলো। ধূমপান ক্যান্সারের কারণ, তা অনেকেই জানেন। তবে ধূমপান যে আরও অনেক কঠিন রোগের কারণ, তা কি জানেন? সিগারেটে থাকা কার্সিনোজেনিক উপাদানের জন্য ফুসফুসের ক্যান্সার, স্ট্রোক, টাইপ ২ ডায়বেটিস, শ্বাসকষ্টের মতো অসুখ আমাদের শরীরে বাসা বাঁধে। এই মারাত্মক নেশা থেকে মুক্ত হতে চিকিৎসকের পরামর্শ, ওষুধ সব চেষ্টাই বৃথা যায়। ধূমপানের ফলে ফুসফুসের অ্যালভিওলি নামক ছোট বায়ু থলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে দীর্ঘস্থায়ী অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ অর্থাৎ সিওপিডি হতে পারে। সিগারেটের ধোঁয়ায় ক্যান্সার সৃষ্টিকারী মিউটাজেন থাকে। এতে মুখ, শ্বাসনালি, গ্রাসনালি, ফুসফুস, প্যানক্রিয়াস, ল্যারিংসে ক্যান্সার হতে পারে। কিন্তু কিছু ঘরোয়া টোটকা আপনার এই সমস্যার সমাধান করতে পারে ম্যাজিকের মতো। জানুন কীভাবে ঘরোয়া উপায়ে মোকাবিলা করবেন এই সমস্যার।
আদাকে পাতলা ও ছোট টুকরো করে কেটে নিন। এক গ্লাস জলে কেটে রাখা আদা ও এক চামচ বেকিং সোডা দিন। ভাল করে মিশিয়ে নিন। এইভাবে গ্লাসের জল সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। পরেরদিন সকালে চামচ দিয়ে ভাল করে নেড়ে নিন। ধূমপান করছেন সেই ব্যক্তির সকালে উঠে প্রথম সিগারেটটি ধরানোর আগেই তাকে খালি পেটে এই পানীয় খাইয়ে দিন। এইভাবে নিয়ম করে টানা সাতদিন খাওয়ালেই ধীরে ধীরে ধূমপানের অভ্যাস ছাড়তে বাধ্য হবেন সেই ব্যক্তি।
আদা ধূমপায়ীদের শরীর থেকে নিকোটিন টেনে বের করতে সাহায্য করে। ফুসফুসকে ফিল্টার করে তার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
বেকিং সোডা মুখের দূর্গন্ধ দূর করে ও ধূমপানের জন্য দাঁতের রং হলুদ হয়ে গেলে তার সাদা করতে পারে।
