আজকাল ওয়েবডেস্কঃ শীতে শিশুদের ঠান্ডা লাগা কার্যত প্রায় প্রত্যেকটি বাড়ির সমস্যা। ক্ষুদেদের ঠান্ডা লাগা মানেই, তার সঙ্গে খাওয়াদাওয়াতে অনীহা ও কান্নাকাটি বাধ্যতামূলক। রাতের পর রাত ঘুমোতে না পেরে তাদের কষ্ট আরও বেড়ে যায়। ঠান্ডা লাগার ভয়ে রোজ স্নানও করাতে পারেন না। কিন্তু তাতেও খুব উপকার হয় না। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, স্নানের সময় এবং পদ্ধতিতে সামান্য পরিবর্তন আনলে এই সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যার নিষ্পত্তি হবে। শুধু তাই নয়, সামগ্রিক সুস্থতার জন্য পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখাও জরুরি। কিন্তু একবার কাশি শুরু হলে বাচ্চাদের শ্বাস নিতেও কষ্ট হয়। শিশির পর শিশি কাশির সিরাপ খাইয়েও কোনও লাভ হয়না। সঙ্গে তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও প্রচুর। তাই ভরসা করতে পারেন ঘরোয়া উপায়ে তৈরি কাশির সিরাপে। কীভাবে বানাবেন এই ম্যাজিকাল সিরাপ জেনে নিন।

বেশ কিছু টাটকা তুলসীপাতা পরিষ্কার করে ধুয়ে নিন। ব্লেন্ডারে দিয়ে দিন। সঙ্গে কয়েক টুকরো আদা দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। সম্পূর্ণ পেষ্টটি ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে নিন। এর মধ্যে এক চামচ করে মধু ও অর্ধেক লেবুর রস নিংড়ে নিন। একটি ছোট পরিষ্কার বোতলে ঢেলে রাখুন। ফ্রিজে আপনি এই মিশ্রণটি ২-৩ সপ্তাহ রাখতে পারেন। 
মধুতে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, অ্যান্টিব্যাক্টেয়াল এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান থাকে। এগুলি গলা ও বুকে জমে থাকা কফ পরিষ্কার করে। মধু গলায় ইনফেকশনকে সারিয়ে তোলে এবং শুকনো কাশিও কমে নিমেষেই। ভিটামিন, এনজাইম, এবং খনিজের মতো উপাদান থাকায়  শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। ফেনোলিক অ্যাসিড ও ফ্ল্যাভোনয়েডের মতো গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে ইমিউনিটিকে শক্তিশালী করে। তুলসী পাতার গুণ, বলে শেষ করা সম্ভব নয়। আাগেকার দিনে সর্দি-কাশি হলে মা-ঠাকুমারা শিশুদের তুলসী পাতার রস, মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়াতেন। তাতে কাজও হত বেশ। ব্যাক্টেরিয়া, ভাইরাস ঠেকাতে, প্রদাহ কমাতে এই ভেষজ ভীষণ কার্যকর। তুলসী পাতা দিয়ে চা বা তুলসী পাতার রস খেতে পারেন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে দুরন্ত গতিতে।